অর্ণব দাস, বারাকপুর: “দুষ্কৃতীরা বরাবরই শাসকদলের ছাতার তলায় থাকার চেষ্টা করে। তাই শাসকদলকেই ফিল্টার করে নিতে হবে”, সাংসদ অর্জুন সিংয়ের এই মন্তব্যেই এবার বিতর্ক। জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
রবিবার গারুলিয়ায় একটি রক্তদান শিবিরে যান বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “যেখানে যে শাসক থাকে, খারাপ কিছু লোক সেই শাসকদলের ছাতার তলায় আসার চেষ্টা করে। তাই শাসকদলকেই ফিল্টার করে নিতে হবে, কে ভাল লোক, কে দলে থাকবে আর কে খারাপ লোক আমাদের দলে থাকবে না। কারণ ক্রাইমের সঙ্গে সমঝোতা করলে চলবে না।” বারাকপুরে সোনার দোকান ডাকাতি করতে এসে মালিকের ছেলেকে খুনের ঘটনার পর থেকেই সুর চড়িয়েছেন সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি বলেছিলেন, “একমাসের মধ্যে টিটাগড় থানা এলাকায় দুটি খুন হয়ে গেল। টিটাগড় থানার ভূমিকা ঠিক নেই। বারাকপুরের অনেক ব্যবসায়ী আমার কাছে এসেছিল। তারা ভয় পাচ্ছেন ব্যবসা করতে। আমি পুলিশ প্রশাসনকে বলবো, প্রয়োজনে আমার নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হোক। কিন্তু বাসিন্দাদের নিরাপত্তা দিতে হবে।”
[আরও পড়ুন: মন্ত্রী বীরবাহার উপর হামলার প্রতিবাদ, ৮ জুন রাজ্যজুড়ে ধর্মঘটের ডাক আদিবাসীদের]
এরপর ফের এদিন সাংসদের এই মন্তব্যকে ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এবিষয়ে অর্জুন সিংয়ের ব্যাখ্যা, “দুষ্কৃতীরা সবসময় আশ্রয় খোঁজে। তাই তারা শাসকদলের ছাতার নিচে আসতে চায়। আর সত্যিই যদি পুলিশ যদি সতর্ক থাকে। তাহলে বারাকপুরে পরপর এই ধরনের ঘটনা ঘটে না। এরজন্য দলের বদনাম হচ্ছে। রোজ মানুষের কাছে এই নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সেই কারণেই আমি উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলাম।”
[আরও পড়ুন: ‘বঞ্চনার বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে’, গ্রেপ্তারির পরেও অবস্থানে অনড় কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাতো]
Source: Sangbad Pratidin