নন্দন দত্ত, সিউড়ি: এগরা, বজবজের বিস্ফোরণের পর থেকে আরও তৎপর পুলিশ। বীরভূমে ফের উদ্ধার বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রামের হাটতলার কাছে কালীভাসা নামে একটি পুকুরপাড়ের ঝোপে দু’টি ড্রাম ভরতি তাজা বোমা রাখা ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে তা উদ্ধার করে রামপুরহাট থানার পুলিশ। সকালে এলাকার লোকজন পুকুর পাড়ে একটি ঝোপের আড়ালে দু’টি হলুদ রংয়ের প্লাস্টিকের ড্রাম দেখতে পান। কাছে গিয়ে দেখেন সেগুলিতে বোমা মজুত রয়েছে। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। রামপুরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এলাকাটিকে ঘিরে রাখে। পুলিশের পক্ষ থেকে খবর দেওয়া হয়েছে বম্ব স্কোয়াডে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দু’টি ড্রামে প্রায় ৩০টি বোমা রয়েছে।
[আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারের ট্রেনিং সেন্টারের সাফল্য, ইউপিএসসিতে সফল বাংলার ৭ পড়ুয়া]
অন্যদিকে, কাঁকড়তলা থানা ও সদাইপুরে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কাঁকরতলা থানার বাবুইজোড় এলাকায় আলার মিলের কাছে ঝাড়খণ্ড থেকে অস্ত্র নিয়ে জেলায় ঢোকার আগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতেরা হল শেখ রাজা ও শেখ লাদেন। শেখ রাজা ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। অন্যজন কাঁকরতলা থানা এলাকার বাসিন্দা। তাদের কাছে একটি দেশি পিস্তল ও দু’রাউন্ড কার্তুজ পাওয়া গিয়েছে। বৃহস্পতিবার তাদের দুবরাজপুরের আদালতে পেশ করা হবে।
তার আগে বুধবার রাতে সদাইপুর থানার হদলা গ্রামে ধরা পড়ে শেখ মেহেবুব ওরফে মহরম। এলাকার দাগি অপরাধী হিসাবে পুলিশের খাতায় তার নাম আছে। তার কাছে একটি দেশি পিস্তল ও কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। তাকে সিউড়ি আদালতে পেশ করা হবে। উল্লেখ্য, দুবরাজপুরে বোমা বিস্ফোরণের পর জেলাজুড়ে পুলিশি অভিযান শুরু হয়। তার জেরে বুধবার কাঁকরতলা এলাকায় বোমা, লোকপুর ও মাড়গ্রামে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দুষ্কৃতী ধরা পড়ে।
[আরও পড়ুন: ফিল্মি দুনিয়ায় ফের দুঃসংবাদ! হোটেলের ঘর থেকে মিলল পরিচালকের নিথর দেহ]
Source: Sangbad Pratidin