অর্ণব দাস, বারাসত: জীবনে একসঙ্গে এক লক্ষ টাকা চোখে দেখেননি। একবার কুড়ি থেকে ত্রিশ হাজার টাকা জমিয়েছিলেন। কিন্তু সেই টাকা খরচও হয়ে গিয়েছে। দেগঙ্গার বাসিন্দা সেই দিনমজুরের অ্যাকাউন্টে একেবারে ঢুকল ১০০ কোটি টাকা! স্বাভাবিকভাবেই ঘুম উড়েছে পরিবারের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেগঙ্গার চৌরাশি পঞ্চায়েতের বাসুদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর মহম্মদ নাসিরুল্লা মণ্ডল। বাবা, মা, স্ত্রী এবং দুই ছেলে, মেয়ে নিয়ে তাঁর সংসার। দুদিন আগেই সে অন্যের একটা আমবাগানে দিনমজুরের কাজ করছিলেন। তখন দেগঙ্গা থানার দু’জন সিভিক ভলেন্টিয়ার গিয়ে তাঁর হাতে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সাইবার ক্রাইমের তরফে পাঠানো একটি নোটিস দেয়। নোটিসের বিষয়বস্তু বুঝতে তিনি প্রতিবেশী শিক্ষিত এক যুবকের দ্বারস্থ হন। তখনই তাঁর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে কোনও গড়মিল হওয়ার কথা জানতে পারেন। নোটিসে তাঁকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে চলতি মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর সাইবার ক্রাইম থানায় গিয়ে দেখা করতেও বলা হয়। তখনই তিনি মোবাইলে ব্যাংক ব্যালেন্স চেক করতে গিয়ে দেখেন ১০০ কোটি টাকার থেকে এক পয়সা কম রয়েছে।
[আরও পড়ুন: খাদিকুলের বাসিন্দাদের উপর অত্যাচার সহ্য করব না! এগরা থানায় ঢুকে পুলিশকে ‘ধমক’ শুভেন্দু]
এরপর থেকেই কার্যত নাওয়া,খাওয়া ভুলে গিয়েছেন তিনি। কীভাবে এত পরিমান টাকা ঢুকল এখন এই চিন্তায় তাঁর ঘুম উড়েছে। এই প্রসঙ্গে মহম্মদ নাসিরুল্লা মণ্ডল বলেন, “আমি খেতমজুরের কাজ করি। রাতারাতি কীভাবে এত পরিমান টাকা আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকল বুঝতে পারছি না। এই টাকা আমার নয়। ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারি অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়েছে। আমি চাই পুলিশ বিষয়টি সমাধান করুক।” নাসিরুল্লার দাদা মহম্মদ মোস্তাকান আহমেদ বলেন, “আমাদের পরিবারের কেউই ১ লক্ষ টাকা একসঙ্গে দেখিনি। ভাইও অন্যের আমবাগানে কাজ করে। তার পক্ষে ৫০ হাজার টাকা জমানোর সামর্থ নেই। আমরা চাই জঙ্গিপুরে না গিয়ে দেগঙ্গা থানার পুলিশই সমস্যার সমাধান করুক।”
[আরও পড়ুন: খাতড়ার সভায় যাওয়ার আগে কুড়মিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ অভিষেকের, গাড়িতে বসেই শুনলেন সমস্যা]
Source: Sangbad Pratidin