স্টাফ রিপোর্টার: রাখে চিকিৎসা মারে কে? প্রায় ৪৫ দিন ধরে বুকের বাঁদিকে এক সেন্টিমিটার প্লাস্টিক আটকে ছিল ছ’বছরের হামিম অানসারির। হামিমের বাড়ি মালদহর কালিয়াচকে। সেই প্লাস্টিক বেরোল সোমবার পিজি হাসপাতালের ইএনটি বিভাগে।
ঘটনার সূত্রপাত গত ৭ এপ্রিল। ছোট্ট হামিম খেলারছলে কিছু একটা গিলে ফেলে। বাড়ির লোকজন জানতে পেরে স্থানীয় কোয়াক ডাক্তারকে দেখায়। সব দেখেশুনে হাতুড়ে ডাক্তার নিদান দেন, ‘‘ও কিছু না। সেরে যাবে!’’ কিন্তু সারা তো দূরের কথা, ক’দিন পর থেকে তুমুল কাশি শুরু হল হামিমের। কিছুতেই আর কাশি থামে না। পাড়ার ডাক্তার রেফার করলেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। মালদহ মেডিক্যাল কলেজের চেস্ট বিভাগের ডাক্তারবাবুরা ভাল করে দেখে জানান, বুকের বঁাদিকে সাদা দাগ। ওই অংশে জল জমেছে। জমা জল বের করতে (ড্রেন আউট) বুকের বাঁদিকে পাইপ জোড়া হল। কিন্তু জমা জল বের হল না। সেখান থেকে রেফার করা হল এনঅারএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিটিভিএস বিভাগে। সিটিভিএস থেকে ব্রঙ্কোস্কোপি করা হল। কোনও একটা বস্তু আটকে আছে এটা বোঝা গেলেও সেটি বের করতে ইএনটি বিভাগে পাঠানো হয়।
[আরও পড়ুন: জামাইদের জন্য সুখবর, জামাইষষ্ঠীতে অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা নবান্নের]
পিজির ইএনটি বিভাগের অধ্যাপক ডা. অরুণাভ সেনগুপ্তর কথায়, ‘‘অন্তত ১৮ দিন পর বাড়ি ফিরে যায় বাচ্চাটি।’’ কিন্তু গত শুক্রবার থেকে বেদম কাশি অার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সুদূর কালিয়াচক থেকে সোজা পিজির ইএনটি’র আউটডোরে বাবা-মায়ের সঙ্গে হাজির হয়।’’ এএনটি’র অপর চিকিৎসক ডা.সৌগত রায়ের কথায়, ‘‘আউটডোরে বাচ্চাটাকে দেখে সঙ্গে সঙ্গে নেবুলাইজার দেওয়া হয়। একটু ধাতস্থ হতে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকালে ব্রঙ্কোস্কোপি করে বাঁদিকের ফুসফুসের পাশে থাকা এক সেন্টিমিটারের প্লাস্টিকের টুকরো বের করা হয়।’’
[আরও পড়ুন: রাজ্যে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা, তীব্র গরম থেকে বিকেলেই মিলতে পারে রেহাই]
Source: Sangbad Pratidin