রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: ১৯৭/৫ (কোহলি-১০১*, ডু প্লেসি-২৮)
গুজরাট টাইটান্স: ১৯৮/৪ (গিল-১০৪*, বিজয়-৫৩)
৬ উইকেটে জয়ী গুজরাট টাইটান্স
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুই ভারতীয় তারকার ক্যারিশ্মার সাক্ষী থাকল চিন্নাস্বামী। দুই তারকাই হাঁকালেন সেঞ্চুরি। একজন বিরাট কোহলি, যাঁর নতুন করে পাওয়ার কিছু নেই। এবং শুভমান গিল। যিনি বুঝিয়ে দিচ্ছেন জাতীয় দলে ভবিষ্যৎ শক্ত হাতেই থাকবে। দুই তারকারই তাই আজ জয় প্রাপ্য। কিন্তু দিনের শেষে যে একজনই শেষ হাসি হাসে। আর সেই মধুরেণ সমাপয়েৎ ঘটল গিলের হাঁকানো ছক্কা দিয়েই।
চলতি আইপিএলের একেবারে বিপরীত স্থানে থাকা দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল চিন্নাস্বামীতে। একটি দল একের পর এক ম্যাচ জিতে লিগ শীর্ষে থেকে প্লে অফে জায়গা পাকা করে ফেলেছে আগেই। ফলে তাদের জন্য নেহাতই এ ম্যাচ ছিল নিয়মরক্ষার। আর অন্য দলটির কাছে এ লড়াই মরণ-বাঁচনের। কারণ এই ম্যাচে হারের অর্থ টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়া। প্রথমটি গুজরাট টাইটান্স। আর দ্বিতীয়টি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। কিন্তু দুরন্ত লড়াই করেও গতবারের চ্যাম্পিয়ন দলের কাছে হার স্বীকার করতে হল আরসিবিকে। আর সেই সঙ্গে আবারও ভাঙল ব্যাঙ্গালোরের ট্রফি জয়ের স্বপ্ন।
Shubman Gill seals off the chase with a MAXIMUM @gujarat_titans finish the league stage on a high #TATAIPL | #RCBvGT pic.twitter.com/bZQJ0GmZC6
— IndianPremierLeague (@IPL) May 21, 2023
[আরও পড়ুন: চেন্নাই শিবিরে গৃহযুদ্ধ? ম্যাচ শেষে ধোনির সঙ্গে ঝামেলা, ‘কর্মফল পাবেই’, টুইট জাদেজার]
ঘরের মাঠে ডু অর ডাই ম্য়াচ। আর সেই অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে নিজেকে উজার করে দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। ১৫টা মরশুম পেরিয়ে এখনও ট্রফির মুখ দেখেনি আরসিবি। ক্যাপ্টেন হিসেবে কোহলি দলকে ফাইনালে তুললেও খেতাব হাতছাড়া হয়েছে। তবে গ্রুপ পর্বের অন্তিম লড়াইয়ে ব্যাটার হিসেবে নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছেন তিনি। অতি গুরুত্বপূর্ণ ম্য়াচে যখন দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরে যাচ্ছেন ফ্যাফ ডু প্লেসি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১১), দীনেশ কার্তিকরা (০), তখন একা সিংহের মতো গর্জে উঠে দলকে ২০০ রানের কাছে পৌঁছে দিলেন কোহলি। আইপিএলের ইতিহাসে একমাত্র ব্যাটার হিসেবে সপ্তম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নয়া রেকর্ডের মালিকও হলেন। কিন্তু ১৬ তম মরশুমেও প্লে অফে পৌঁছনোর স্বপ্নপূরণ হল না।
বিধ্বংসী গিলই সবটা গরমিল করে দিলেন। ৫২ বলে অপরাজিত ১০৪ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলে দলকে তো বটেই, ক্রিকেট দুনিয়ার মন জয় করে নিলেন তিনি। বিজয় শংকর আউট হন ৫৩ রান করে। ফলে ঋদ্ধিমান সাহা, সনাকা, মিলাররা ব্যর্থ হলেও গিল ম্যাজিকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছতে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি গুজরাটকে।
শীর্ষে থাকলেও যে কোহলিদের হালকা ভাবে নেননি হার্দিক পাণ্ডিয়া, তা তাঁদের প্রথম একাদশেই স্পষ্ট।পূর্ণ শক্তি নিয়েই নেমেছিলেন। তারকাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজেও কোথাও অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের ছাপ নেই। যেন এ ম্যাচ জিততেই হবে। এটাই হয়তো ভাল দলের সাফল্যের গোপন চাবিকাঠি। তাই এহেন গুজরাট আবারও চ্যাম্পিয়ন হলে যোগ্য হিসেবেই হবে। তবে গুজরাটের জয়ের জন্য হয়তো এদিন সবচেয়ে বেশি খুশি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। কারণ আরসিবি হারতেই প্লে অফে তাঁদের জায়গা পাকা হল। গুজরাট, চেন্নাই, মুম্বই ও লখনউয়ের মধ্যে এবার শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াই।
[আরও পড়ুন: এগরার পর বজবজ, বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত অন্তত ৩]
Source: Sangbad Pratidin