সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গলায় কুমীর ডিজাইনের নেকলেস পড়ে রাতরাতি খবরের শিরোনামে উর্বশী রাওতেলা। মডেল-অভিনেত্রীর কান লুক নিয়ে নেটপাড়ায় ট্রোল-মিমের অন্ত নেই। যে গলার নেকলেসের জন্য এত্ত কথা, এবার সেই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন উর্বশী।
প্রসঙ্গত, বাইশেও কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের রেড কার্পেটে হেঁটেছিলেন। তবে সেইবার এত হইচই হয়নি। কিন্তু ২০২৩ সালে কান-এর লাল গালিচায় উর্বশী রাওতেলার লুক নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অভিনেত্রীর সাজপোশাক বর্তমানে নেটপাড়ার চর্চায়। অনুষ্ঠানের পয়লা দিনেই গোলাপী গাউনে দ্যুতি ছড়িয়েছেন তিনি। সেখানেই উন্মুক্ত গলা-কাঁধে জড়িয়ে থাকা দুই কুমীর ডিজাইনের নেকলেস নজর কাড়ে। অনেকেই ঠাট্টা করে সেই বলেন, গলায় নাকি টিকটিকি জড়িয়েছেন উর্বশী। যাবতীয় ‘উদ্ভট মন্তব্য’ প্রসঙ্গে এবার জবাব দিলেন ‘পন্থ-প্রেমিকা’।
[আরও পড়ুন: ‘মৃত্যুর আগে একটিবার শাহরুখকে দেখতে চাই’, কাতর আরজি ক্যানসার আক্রান্ত বৃদ্ধার]
View this post on Instagram
A post shared by Urvashi Rautela (@urvashirautela)
উল্লেখ্য, বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে যে,উর্বশী রাওতেলার এই কুমীর নেকলজের মূল্য প্রায় ২০০ কোটি। সোনা এবং হিরের সূক্ষ্ম কারুকার্য করা। উর্বশী বললেন, “সঠিক তথ্য না জেনেই লোকজন আমার নেকলেস প্রসঙ্গে উদ্ভট মন্তব্য করে চলেছেন। কিন্তু যাঁদের ধারণা রয়েছে, তাঁরা নিশ্চয় জানবেন যে, এটা ভীষণ আইকনিক একটা পিস। এক নেপথ্যে একটা ঐতিহাসিক তাৎপর্যও রয়েছে। আমি তো জানতামও না, পরে শুনলাম ২০০৬ সালে কান-এর মঞ্চে এই নেকলেসটা পরেছিলেন মনিকা বেলুচি।”
[আরও পড়ুন: দেবলীনার বিয়েকে ‘লাভ জিহাদ’ বলে কটাক্ষ! মুসলিম স্বামীর হয়ে সুর চড়ালেন নায়িকা]
View this post on Instagram
A post shared by Urvashi Rautela (@urvashirautela)
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সের খ্যাতনামা ব্র্যান্ড কার্টিয়ার এই কুমীর নেকলেস তৈরি করেছে ১৯৭৫ সালে। ২০২৮ সালের ফোর্বস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই নেকলেসের একটি কুমির ১৮ ক্যারেট সোনা আর ১০৬০টি পান্না (৬৬.৮৬ ক্যারেট) দিয়ে তৈরি। আরেকটা কুমীরে হলুদ হিরে দিয়ে সূক্ষ্ম কাজ করা। পুরোপুরি ৬০ ক্যারেট হিরে দিয়ে তৈরি এটা। ২০০৬ সালে ইতালিয় অভিনেত্রী মনিকা বেলুচি কান-এর মঞ্চে এই কুমির নেকলেস পরেছিলেন। পরে ২০১৯ সালেও রেড কার্পেটে ওই একই নেকলেস পরে দেখা যায় তাঁকে। ২০২৩ সালে উর্বশীর গলায় সেই একই নেকলেস দেখে তোলপাড়া নেটপাড়া।
Source: Sangbad Pratidin