শেখর চন্দ্র, আসানসোল: গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে তিহাড় জেলে গিয়ে জেরা করতে পারবে সিবিআই। শনিবার এমনই নির্দেশ দেন আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। তিহাড় জেলে গিয়ে জেরার আবেদন জানায় সিবিআই। আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষকে জানানোর নির্দেশ।
এদিকে, আব্দুল লতিফের আবেদনে সাড়া দিল না আসানসোল সিবিআই আদালত। সিবিআই হাজিরার শর্ত শিথিল হল না লতিফের। প্রতি চারদিন পর সিবিআই যেখানে ডাকবে সেখানেই যেতে হবে তাকে। গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই চার্জশিটে নাম রয়েছে লতিফের। শনিবার আসানসোল সিবিআই আদালতে যান লতিফ। ৮ মে’র পর ২০ মে অর্থাৎ শনিবার আদালতে হাজিরার দিন ছিল লতিফের। এদিন ফের একই শর্তে অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বাড়ল। যদিও এদিন লতিফের আইনজীবী শেখর কুণ্ডু চারদিনের পরিবর্তে সাতদিনে একবার সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার আবেদন জানান। সেই আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী জানান, “জামিনে রয়েছেন এটাই যথেষ্ট।”
[আরও পড়ুন: ‘তুঘলকি সিদ্ধান্তে আমজনতার যন্ত্রণা’, ২০০০ টাকার ‘নোটবাতিল’ নিয়ে ফের তোপ মুখ্যমন্ত্রীর]
শনিবার তৃতীয়বার এই আদালতে হাজিরা দেন লতিফ। সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ থাকায় তার বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছে না সিবিআই। লতিফের আইনজীবী শেখর কুণ্ডু জানান, সুপ্রিম কোর্টে সম্ভাব্য শুনানির দিন ৭ জুলাই। এরপরই তিনি বলেন, “লতিফকে সাতদিনে একবার সিবিআই জেরার মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ দিলে ভাল হয়।”
বিচারক তখন কেস ডায়েরি দেখে রায় দেবেন বলে জানান। মাঝে প্রায় পঞ্চাশ মিনিট শুনানি স্থগিত থাকে। পরে দ্বিতীয় দফায় শুনানি শুরু হয়। তখনই কেস ডায়েরি দেখে বিচারক জানান, প্রচুর তথ্য পাওয়া গিয়েছে। জামিনে আছেন সেটাই যথেষ্ট। পরবর্তী শুনানি আগামী ১৩ জুন। তবে এদিনও মুখে মাস্ক, মাথায় টুপি ও বাউন্সার সঙ্গে নিয়ে আদালতে যায় লতিফ। উদ্দেশ্য ছিল, সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা এড়ানো। তবে লতিফের সেই লুকোচুরি খেলা ব্যর্থ হয়।
[আরও পড়ুন: বানচাল শুভেন্দুর পরিকল্পনা? ‘বাতিল, রুচিহীন’ সোনালি গুহকে আর দলে চায় না বিজেপি]
Source: Sangbad Pratidin