সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়া দেওয়ার সামর্থ্য না থাকায় মৃত শিশুর দেহ ব্যাগে ভরে বাড়িতে ফেরেন অসহায় বাবা। দিন দুই আগের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এরাজ্যে। এবারের ঘটনা মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh)। সেখানে কিশোরী কন্যার মৃতদেহ মোটরবাইকে চাপিয়ে হাসপাতাল থেকে গ্রামের পথে রওনা দিলেন অসহায় বাবা। অভিযোগ, সরকারি হাসপাতাল অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা না করায় বাধ্য হয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করেন তিনি। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল শুরু হয়েছে সে রাজ্যে। অভিযুক্ত হাসপাতালের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের শাহদোল অঞ্চলের। শাহদোলের সরকারি হাসপাতালে ১৩ বছরের কিশোরী মাধুরীকে ভরতি করেছিলেন পিতা লক্ষ্মণ সিং। রক্তাল্পতার ভুগছিল মাধুরী। শাহদোল থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরের প্রত্যন্ত গ্রাম কোটার বাসিন্দা লক্ষ্মণ। সোমবার রাতে হাসপাতালেই মাধুরীর মৃত্যু হয়। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য বলেন লক্ষ্মণ। সদ্য কন্যাহারা পিতার দাবি, হাসপাতালের লোকেরা জানায় ১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে অ্যাম্বুল্যান্স মিলবে না। লক্ষ্ণণ বলেন, “আমরা অ্যাম্বুল্যান্স চেয়েছিলাম। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে পরিষেবা দেওয়া হয় না।” আরও বলেন, “নিজেদেরই অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে নিতে হবে। পয়সা না থাকায় মোটরবাইকে মৃতদেহ চাপিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিই।”
[আরও পড়ুন: রুশ তেল নিয়ে ভারতকে রক্তচক্ষু ইউরোপীয় ইউনিয়নের, পালটা দিলেন জয়শংকর]
গোটা রাস্তা মোটরসাইকেলে ফিরতে হয়নি লক্ষ্মণকে। গ্রাম থেকে ২০ কিলোমিটার আগে শাহদোলের কালেক্টর বন্দনা বৈদ্যের চোখে পড়ে যায় মর্মান্তিক দৃশ্য। তিনিই বাকিপথের জন্য একটি গাড়ির ব্যবস্থা করেন। এরপর গ্রামে ফিরে মেয়ের শেষ কাজ করেন লক্ষ্মণ। শাহদোলের কালেক্টর অসহায় পিতাকে আর্থিক সাহায্যও করেছেন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: গভীর রাতে পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু অসমের ‘লেডি সিংহম’য়ের, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ মায়ের]
Source: Sangbad Pratidin