স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রকের উদ্যোগে আজাদ হিন্দ বাহিনীর (Azad Hind) ইতিহাস সম্পর্কিত ঐতিহাসিক প্রতুল গুপ্তের নেতৃত্বে তৈরি বই প্রকাশ করতে কোনও আপত্তি নেই প্রতিরক্ষা ও বিদেশমন্ত্রকের। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের করা জনস্বার্থ মামলায় সোমবার আদালতে এ কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, বিষয়টি এখন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের বিবেচনাধীন। কেন্দ্রের বক্তব্য শোনার পর দিল্লি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ ১০ আগস্ট মামলাটির শুনানি ধার্য করেছে।
উল্লেখ্য, ১৯৪৮-৪৯ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ঐতিহাসিক প্রতুল গুপ্তকে আজাদ হিন্দ বাহিনীর ইতিহাস সংক্রান্ত গবেষণার দায়িত্ব দেয়। তার পর প্রায় ৭৫ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই পাণ্ডুলিপি থেকে এখনও বই প্রকাশ করা হয়নি। ২০০৮ সালে নেতাজি গবেষক চন্দ্রচূড় ঘোষ তথ্য জানার অধিকার আইনে পাণ্ডুলিপিটির প্রতিলিপি দাবি করলে তৎকালীন কংগ্রেস সরকার তা নাকচ করে দেয়।
[আরও পড়ুন: কুন্তলের চিঠিতে অভিষেকের নাম মামলায় মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা CBI-ED’র, শেষ শুনানি]
তার ঠিক বছর দুয়েক বাদে কেন্দ্রকে সেই বই মুদ্রণের নির্দেশ দেয় তথ্য কমিশনার। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে কেন্দ্র দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলে তা নাকচ করে দিয়ে তথ্য কমিশনারের নির্দেশই বহাল রাখে আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ফের ডিভিশন বেঞ্চে যায় তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। এরই মাঝে একটি সূত্র মারফত জানা যায় যে, এই বই প্রকাশ করলে অন্য দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে কোনও প্রভাব পড়বে না।
তবে বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, বইয়ের ১৮৬ থেকে ১৯১ নং পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়নি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর। সেক্ষেত্রে তিনি জীবিত অবস্থায় অন্য কোথাও চলে গিয়েছিলেন, এই দাবিই প্রতিষ্ঠা হবে। এই কারণে সর্বোচ্চ স্তরে বিষয়টির মূল্যায়ন হওয়া প্রয়োজন। দেখার শুধু আগামী স্বাধীনতা দিবসের আগে নেতাজি ও আজাদ হিন্দ বাহিনী সম্পর্কিত এই মহামূল্যবান বই সম্পর্কে দিল্লি হাই কোর্ট কোনও রায় দেয় কি না।
[আরও পড়ুন: বাজি কারখানার আড়ালে বোমা তৈরি? এগরায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, রাস্তায় পড়ে ছিন্নভিন্ন দেহ!]
Source: Sangbad Pratidin