সংবাদ প্রিতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজস্থানে (Rjasthan) দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁরই ৩ সহপাঠীর বিরুদ্ধে। দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে চালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। তারাই তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে মৃত্যু হয় ছাত্রীর। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, প্রভাবশালী রাজনৈতিক যোগ থাকায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শুরুতে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। পরে চাপে পড়ে এফআইআর নেওয়া হয়। থানার বাইরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিকর জেলার লক্ষ্মণনগর থানা এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্রী। দাদুর সঙ্গে থাকতেন তিনি। বাবা কর্মসূত্রে সৌদি আরবে থাকেন। ছাত্রীর কাকা ৩ সহপাঠী এবং ভাইঝির তুতো বোনের এক বান্ধবীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, ছাত্রীর তুতো বোনের বান্ধবীর যোগসাজশেই ৩ সহপাঠী ধর্ষণ করে। ভয়ংকর অত্যাচারে গুরুতর জখম ছাত্রীকে অভিযুক্তরাই স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে মৃত্যু হয় তরুণীর। হাসপাতালে অভিযুক্তরা জানান পথ দুর্ঘটনায় জখম হন ছাত্রী।
[আরও পড়ুন: শিব না সিদ্দা? কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে কে?]
পরিবার দাবি করেছে, অভিযুক্তদের সঙ্গে প্রভাবশালী রাজনৈতিক যোগ থাকায় শুরুতে পুলিশ ঘটনাটিকে পাত্তা দেয়নি। প্রথমবার স্থানীয় থানা এফআইআর-ই নিতে চায়নি। পড়ে চাপে পড়ে এফআইআর দায়ের করেন পুলিশ আধিকারিকরা। প্রতিবাদে থানার সমানে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। মৃতার দেহ নিতেও অস্বীকার করেছিল পরিবার। শেষ পর্যন্ত পুলিশকর্তার হস্তক্ষেপে চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ এবং খুনের মামলা রুজু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তারির খবর নেই।
[আরও পড়ুন: হার ১১ জনের, জিতলেন ১২ জন, বিপর্যয়ের কর্ণাটকে পরাস্ত বিজেপির হেভিওয়েটরাও]
Source: Sangbad Pratidin