নব্যেন্দু হাজরা: ফের রাজ্যের মুকুটে নয়া পালক। প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং করোনা অতিমারীর সময়েও ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার পুরস্কার পেল বাংলা। এবার পশ্চিমবঙ্গ ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন (WBSIDCL) জিতে নিল স্কচ পুরস্কার।
২০২০ থেকে ২০২২ সালে একাধিক দুর্যোগের মুখে পড়েছে বাংলা। ঘূর্ণিঝড় যশ ও আমফানের প্রভাব পড়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। তাছাড়া টানা দু’বছর করোনার চোখ রাঙানি সহ্য করতে হয়েছে মানুষকে। এই সময় রীতিমতো ধাক্কা খায় রাজ্যের অর্থনীতি। কিন্তু তখনও অবিচল ভাবে কাজ করেছে WBSIDCL। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ডিজাস্টার কিট, সাবান, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের জন্য নানা সরঞ্জাম। এর পাশাপাশি মারণ রোগের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য এই কর্পোরেশনের উদ্যোগে চালু হয়েছিল বেশ কিছু কোয়ারেন্টাইন সেন্টারও। আর তাদের নিরলস প্রয়াসের জন্যই ২০২৩ স্কচ পুরস্কারে সম্মানিত করা হল রাজ্য সরকারের আওতায় থাকা কর্পোরেশনকে।
[আরও পড়ুন: মানিকের থেকে প্রাথমিকে শূন্যপদে নিয়োগের খরচ নিতে হবে, কেন এমন নির্দেশ হাই কোর্টের?]
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক সাধের প্রকল্প জিতে নিয়েছে স্কচ পুরস্কার। শিক্ষা থেকে শিল্প। স্কচ পুরস্কার (SKOCH award) জিতে নিয়েছে রাজ্যের একাধিক প্রকল্প। একাধিক শিল্পবান্ধব পদক্ষেপে রাজ্যে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য ‘ইজ অফ ডুইং বিজনেস’ ক্যাটেগরিতে এসেছিল স্কচ পুরস্কার। তারও আগে পরিবহণ বিভাগে দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ নিগমের (SBSTC) ঝুলিতে এসেছে সোনা।
গত বছর করোনা মোকাবিলায় কোমর বেঁধে লড়াই করেছিল বিধাননগর পুরনিগম। তাদের সেই ভূমিকাকে কুর্নিশ জানিয়েছিল ‘স্কচ’ সংগঠন। পুর পরিষেবা বিভাগে বিধাননগর পুরনিগম জেতে সোনা। এবার ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়ে ‘ইজ অফ ডুইং বিজনেস’ ক্যাটাগরিতে এল রুপো।
[আরও পড়ুন: প্রাথমিকে ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল! কেন চাকরি গেল? চাকরিহারাদের ভবিষ্যৎ কী?]
Source: Sangbad Pratidin