শাহজাদ হোসনে, জঙ্গিপুর: ফের দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক আরও এক তৃণমূল বিধায়ক। ফিরহাদ হাকিমকে পাশে বসিয়ে জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন দাবি করলেন, কিছু লোক চুরি করে। আর তার দায় নিতে হয় দলকে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তিনি। বিধায়কের মতামতকে কিছুটা হলেও সমর্থন করেছেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, “সারা বাংলায় ১ কোটি সদস্য। তার মধ্যে ১০-১৫টা চোর-চামার থাকতে পারে। কিন্তু এমনভাবে দেখানো হচ্ছে যেন আমরা সবাই চোর।”
মুর্শিদাবাদের জলস্বপ্ন প্রকল্পের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন। সেই অনুষ্ঠানে জাকিরের দাবি, তৃণমূলের কিছু প্রধান চুরি করে। আর তার দায় নিতে হয় দলকে। এমনকী, অপরাধের ভার নেত্রীর উপরে পড়ে বলেও দাবি তৃণমূল নেতার। তিনি যখন এই কথাগুলো বলছেন একই মঞ্চে তখন বসে আছেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কাছে জাকিরের অনুরোধ, যারা চুরি করেছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হোক। এমনকি লক্ষ্মীর ভান্ডার কিংবা বার্ধক্যভাতা দেওয়াতেও যারা কাটমানি খাচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান জঙ্গিপুরের বিধায়ক।
[আরও পড়ুন: ‘সবার সঙ্গে কথা হয়েছে, বিজেপিতেই আছি’, দিল্লি থেকে ফিরে বললেন মুকুল]
জাকিরের অভিযোগকে কার্যত মান্য়তা দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। মঞ্চ থেকে তিনি বলেন. সারা বাংলায় ১ কোটি সদস্য রয়েছে তৃণমূলের। তার মধ্য়ে ১০-১৫ জন্য চোর-চামার হতে পারে। জাকির ঠিক বলছিলেম। পাঁচ ভাই থাকলে এক ভাই পরিবারকে বদনাম করে। কিন্তু সংবাদমাধ্যম এমনভাবে প্রচার করছে যে আমরা সবাই চোর।” রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে যখন একের পর এক তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে তখন জাকির হোসেন ও ফিরহাদ হাকিমের এহেন মন্তব্য নিসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
[আরও পড়ুন: ‘সবার সঙ্গে কথা হয়েছে, বিজেপিতেই আছি’, দিল্লি থেকে ফিরে বললেন মুকুল]
Source: Sangbad Pratidin