সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নববর্ষ মানেই বাঙালির ঘরে উৎসবের আমেজ। নতুন পোশাক পরে হালখাতায় বেরনো, মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়া, পরিবারের সঙ্গে নৈশভোজ ইত্যাদির মধ্যে দিয়েই কাটে বাঙালির। তবে চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে এই দিনটার সামান্য ফারাক রয়েছে। কারণ ব্যবসার পুঁজিকে একত্রিক করতে বছরে একবার খাতা পুজো করে থাকেন ছোট-বড় সমস্ত ব্যবসায়ী। আর নববর্ষেই সেই হালখাতার সূচনা হয়। সারাবছরের লেনদেনের শুভারম্ভ হয় এই বিশেষ দিনটিতেই।
গণেশ ও মা লক্ষ্মীর পুজো দিয়ে বছরের শুভ সূচনা করেন ব্যবসায়ীরা। বিশ্বাস, এতে ব্যবসার শ্রীবৃদ্ধি হয়। সকল দেবতার আগে প্রচলিত গণেশ পুজো। সেই কারণেই বছরের প্রথম দিনটিতে গণেশ পুজোই করা হয়। সেই সঙ্গে ধনের দেবী লক্ষ্মীকেও পুজো করেন ব্যবসায়ীরা। চলুন জেনে নেওয়া যাক, সংসার এবং ব্যবসায় সুখ সমৃদ্ধি বজায় রাখতে নববর্ষে কী কী নিয়ম পালন করবেন।
[আরও পড়ুন: প্রাচীন রীতি মেনে ডাকাতের হাতে শুরু যশাই মায়ের পুজোয় মানুষের ঢল, জেনে নিন মাহাত্ম্য]
উত্তরায়ণের সময় বাড়িতে পুজো করে নববর্ষে লক্ষ্মী-গণেশাং যন্ত্রম প্রতিষ্ঠা করলে মঙ্গল হয়।
বাড়িতে দিনভর ঈশ্বরের নাম সংকীর্তন করতে পারলে সংসারে সুখ ও শান্তি বজায় থাকবে। মনষ্কামনা পূরণ করতে পুজোতে যজ্ঞ আহুতি করুন ও বাড়ির চারদিকে শান্তির জল ছেটান। এতে অশুভ শক্তি দূরে থাকে।
পয়লা বৈশাখে কালো সুতো বা কালো কার ছেলেদের ডান হাতে ও মেয়েদের বাম হাতে বাঁধতে পারলে গুপ্ত শত্রুর হাত থেকে মুক্তি ও শনিদেবের কু-প্রভাব অনেকটাই দূরে থাকা সম্ভব। পাশাপাশি শারীরিক অসুস্থতাও কাটিয়ে ওঠা যায়।
শুভ নববর্ষের দিন দরিদ্র ভোজন এবং বস্ত্রদান করলে মানসিক শান্তি তো পাবেনই, ঈশ্বরের কৃপাও থাকবে মাথার উপর। মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুকেও পারলে এই দিন খাওয়ান।
পুজো শুরুর আগে অবশ্যই বাড়ির প্রতিটি ঘরের সামনে আলপনা দিতে ভুলবেন না। প্রত্যেক ঘরে ধুনো ও শঙ্খধ্বনি দিয়ে অপদেবতা দূর করুন।
পুজোর দিনে নিরামিষ খাওয়াই ভাল।
সন্ধেয় তুলসীতলায় হরিলুঠ দিতে পারলে সংসারে মঙ্গল হবে।
[আরও পড়ুন: বজরংবলির পুজো করে কী ফল মেলে? জেনে নিন হনুমান চল্লিশার পাঠের উপযোগিতা]
Source: Sangbad Pratidin