অর্ণব দাস, বারাকপুর: টিটাগড় (Titagarh) ফ্রি ইন্ডিয়া হাই স্কুলের ছাদে বোমাবাজির কারণ হিসাবে উঠে আসছে ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্ব। প্রাক্তন প্রেমিকার বর্তমান প্রেমিকের উপর শোধ তুলতে গিয়েই নাকি এই বোমাবাজি, সূত্র মারফত জানা গিয়েছে এমনটাই। যদিও পুলিশ এবিষয়ে খোলসা করে কিছু বলেনি। পুলিশ জানিয়েছে, ব্যক্তিগত আক্রোশের থেকেই স্কুলের ছাদে বোমাবাজি হয়েছে। চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার এবিষয়ে বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, “শনিবার রাতে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিন জন স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র। তারা বোমাবাজির কথা স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে বোমাবাজির করেছে বলে জানিয়েছে। যাদের প্রতি আক্রোশের কথা ধৃতরা বলেছে, বয়ান যাচাই করতে তাঁদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে।”
[আরও পড়ুন: দেবী দুর্গার ভোগ রাঁধে মুসলিম পরিবার, মুর্শিদাবাদের বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির পুজোয় হয় না পুষ্পাঞ্জলি]
শনিবার টিটাগড়ের ফ্রি স্কুলের পাশের একটি ৬তলা বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে বোমা ছোড়া হয় স্কুলের ছাদে। সিসিটিভি ফুটেজেও তা দেখা গিয়েছে। ধৃত মহম্মদ রেহানের বাড়িতে হানা দিয়ে যে ১০টি বোমা উদ্ধার হয়েছে তার সঙ্গে বিস্ফোরণ হওয়া বোমার মিল রয়েছে বলেই দাবি পুলিশের। বোমাগুলি কোথা থেকে এসেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের এদিন বারাকপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের একজনের প্রাক্তন প্রেমিকার বর্তমান প্রেমিক টিটাগড় ফ্রি ইন্ডিয়া হাই স্কুলে পড়ে। তাকে ভয় দেখাতেই এই বোমাবাজি বলেই খবর। পাশাপাশি বাকি ১০টি বোমা কী কারণে মজুত করে রাখা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। একইসঙ্গে এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: শিলিগুড়ির বাসের ধাক্কায় মৃত্যু স্কুটি আরোহীর, ঘাতক বাসে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ জনতার]
প্রসঙ্গত, শনিবার টিটাগড় সাউথ স্টেশন রোডের টিটাগড় ফ্রি ইন্ডিয়া হাই স্কুলের ছাদে ক্লাস চলাকালীন বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্কুলের পড়ুয়া, শিক্ষক এবং স্থানীয়রা। ঘটনার পরপরই পড়ুয়াদের ক্লাস থেকে বের হতে নিষেধ করেন শিক্ষকরা। খবর পেয়ে স্কুলে জড়ো হয়ে যায় স্থানীয় বাসিন্দা এবং অভিভাবকরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করে।
Source: Sangbad Pratidin