সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: বাড়ি থেকে উদ্ধার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দুর্গাপুরের (Durgapur) অন্ডাল থানার ছোড়া গ্রামে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। যদিও মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
জানা গিয়েছে, মৃত তৃণমূল (TMC) নেতার নাম নদিয়া ধীবর। পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের অন্ডাল থানার ছোড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। পেশায় আইনজীবী। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা যায়, অন্যান্যদিনের মতোই শনিবার রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর নদিয়াবাবু নির্দিষ্ট ঘরে ঘুমতে গিয়েছিলেন। সকালে উঠে নিজের অফিসে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র দেখেন। ফের দোতালায় নিজের ঘরে ফিরে যান। সাড়ে সাতটা নাগাদ বাড়ির পরিচারিকা দোতালায় ঘর সাফ করতে গিয়ে দেখেন, গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন ওই তৃণমূল নেতা। পরিচারিকার আর্তনাদে পরিবারের সদস্য ও পাড়া প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় বনবহাল ফাঁড়ি পুলিশকে।
[আরও পড়ুন: ‘মদন মন্ত্রিসভায় নেই দেখে অবাক হচ্ছি’, মমতার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সাংসদ প্রসূন]
পুলিশ গিয়ে নদিয়াবাবুর নিথর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী-সহ তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। নরেন্দ্রনাথবাবু জানান, “খুবই দুঃখজনক ঘটনা। নদিয়াবাবুর মৃত্যুতে দলের ক্ষতি হল।” মৃতের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, নদিয়া ধীবর আগে ছোড়া পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন। ২০১৩ সালে নির্বাচনে জিতে তিনি জেলা পরিষদের সদস্য হন। বর্তমানে তিনি ছিলেন পাণ্ডবেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের দায়িত্বে। সম্প্রতি দুর্গাপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনেও তিনি অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু কেন এই পরিণতি? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পুলিশের তরফে জানানো হয়, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ু্ন কবীরের নেতৃত্বে থানা ঘেরাও, রণক্ষেত্র মুর্শিদাবাদের ভরতপুর]
Source: Sangbad Pratidin