অর্ণব দাস, বারাকপুর: টিটাগড়ের ফ্রি স্কুলে বোমাবাজির ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। রবিবার সকালে চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পরে তাদের বয়ানে বিস্তর গরমিল থাকায় গ্রেপ্তার করে টিটাগড় থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম, মহম্মদ আরিয়ান, বাবলু, সাদিক এবং রেহান। ধৃতদের মধ্যে একজন আবার স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র। কী উদ্দেশে তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছিল, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া। এদিকে এই বিস্ফোরণের এনআইএ তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বিশ্বকর্মা পুজোর দিনই টিটাগড়ে (Titagarh) স্কুল চলাকালীন বিস্ফোরণের (Blast) জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। স্কুলবাড়ির ছাদের একাংশ উড়ে যায়। বোমা ফেটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশের তদন্তকারী দল। তদন্তে নেমে বিস্ফোরণের ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই গ্রেপ্তার হল ৪ অভিযুক্ত।
[আরও পড়ুন: বাংলার মুসলিম ভোট কাটুক বাম-কংগ্রেস, লোকসভায় আসন বাড়াতে ব্লুপ্রিন্ট বিজেপির!]
টিটাগড়ের ফ্রি ইন্ডিয়া হাই স্কুলে ক্লাস চলছিল। সেসময় ১৩০০ ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিল। এমন সময় প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ । দেখা যায়, ছাদে বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে। ছাদের কিছুটা অংশ উড়ে গিয়েছে। কীভাবে স্কুলের ছাদে বোমা এল? এই প্রশ্ন উঠেছে। কেউ বা কারা কি ইচ্ছে করেই বোমা ছুঁড়েছে নাকি সেখানে বোমা বাঁধা হচ্ছিল – এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছে টিটাগড় থানার পুলিশ।
স্কুল চলাকালীন এমন একটা ঘটনা ঘটায় স্বভাবতই আতঙ্কিত পড়ুয়ারা। সন্তানদের নিরাপত্তার কথা ভেবে অভিভাবকরাও ভীত। স্কুলে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছিলেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এলাকায় আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য এই বিস্ফোরণ ঘটানো বলে দাবি সাংসদের।
[আরও পড়ুন: কার নির্দেশে দেওয়া হয়েছিল নিয়োগপত্র? জানতে পার্থ ও কল্যাণময়কে মুখোমুখি জেরা সিবিআইয়ের]
Source: Sangbad Pratidin