সুব্রত বিশ্বাস: স্টেশন থেকে এক বধূকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা মদ্যপ দুষ্কৃতীদের। তরুণী বাধা দিলে স্টেশনেই ওই মহিলার শ্লীলতাহানি করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর পোশাক ছিঁড়ে দেয়। এমনকী, বাধা দিতে গেলে তরুণীর শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত লাগে। রবিবার অর্থাৎ বিশ্বকর্মা পুজোর রাতে গেদে শাখার বঙ্কিম নগর স্টেশনে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
পুলিশের কাছে তরুণী অভিযোগ করেন, বিশ্বকর্মা পুজোর রাতে স্বামীর সঙ্গে শিয়ালদহ লোকালের অপেক্ষা করছিলেন। এই সময় ব্যাংকের পাশবই আনার কথা ভুলে গিয়েছিলেন তরুণী। পাশবুক আনতে তাঁর স্বামী বাড়ি যান। এই ফাঁকে মদ্যপ দুষ্কৃতীরা তরুণীর উপর হামলা চালায়। তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তরুণীর বাধা ও চিৎকারে দু-একজন ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। হামলার জেরে মহিলার শরীরে বেশ কয়েক জায়গায় কেটে যায় বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন; পুজোর পরই নয়া জনসংযোগ কর্মসূচি তৃণমূলের! রুটিন মেনে জেলায় জেলায় যাবেন রাজ্য নেতারা]
দুষ্কৃতীদের সন্ধানে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। এপ্রসঙ্গে রেল পুলিশের ডিএসপি (গেদে) নরেন্দ্রনাথ দত্ত বলেন, বধূর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করছে পুলিশ। দুষ্কৃতী শেখর বিশ্বাস ও তার সঙ্গীদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়েছে। তবে এই ঘটনায় স্টেশনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
একই দিনে লাইনের উপর বসে মদ খাওয়ার সময় ডাউন লালগোলা প্যাসেঞ্জারে কাটা পড়ে দুই মদ্যপ। কৃষ্ণনগর স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। অপরজনের পা কাটা পড়ে। সংতটজনক পরিস্থিতিতে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। দু দিন আগে বেথুয়াডহরি স্টেশনের কাছে মদ্যপ কাকা-ভাইপো এক সঙ্গে কাটা পড়ে মারা গিয়েছিলেন। রেল লাইন চত্বরে মদ, গাঁজার ঠেক বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন রেল প্রশাসন।
[আরও পড়ুন; পুজোর পরই নয়া জনসংযোগ কর্মসূচি তৃণমূলের! রুটিন মেনে জেলায় জেলায় যাবেন রাজ্য নেতারা]
Source: Sangbad Pratidin