শেখর চন্দ্র, আসানসোল: কন্টেনারের মধ্যে কয়লা পাচার। তবে পাচারের আগেই পর্দাফাঁস। ধরা পড়ল কয়লাবোঝাই কন্টেনারটি। জামুড়িয়া (Jamuria) থানার পুলিশ শুক্রবার রাতে নাকা তল্লাশি চালিয়ে রানিসায়ের মোড়ের কাছে এই গাড়িটিকে আটক করে।
হুগলির এক প্রাইভেট ফুড প্রোডাক্ট সংস্থার নাম লেখা রয়েছে গাড়িতে। ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জামুড়িয়ার বীজপুর থেকে হুগলির ডানকুনিতে এই কয়লাগুলি যাচ্ছিল। ছোট ছোট বস্তায় কয়লাবোঝাই করে ফুড প্রোডাক্ট কন্টেনারের ভিতর রাখা ছিল। মোট ৪ টন কয়লা উদ্ধার হয়েছে ওই গাড়ি থেকে। পাঁচ দিন আগে অর্থাৎ ১২ সেপ্টেম্বর একইভাবে কয়লাবোঝাই দুধের কন্টেনার পাকড়াও করে জামুরিয়া থানার পুলিশ। দ্বিতীয়বার এই ঘটনা ঘটল। এদিনের ঘটনায় গাড়িচালক সুরোজ দাস ও জামুরিয়ার বোগরার বাসিন্দা তারক মণ্ডলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
[আরও পড়ুন: আমেরিকার আবিষ্কর্তা কলম্বাস ছিলেন নৃশংস, অত্যাচারী! এই ঘৃণ্য ইতিহাস জানেন?]
উল্লেখ্য, প্রায়ই স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করতেন দুধের গাড়ির পিছনে বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় কয়লার গুঁড়ো চোখে লাগছে। কিন্তু সন্দেহ হলেও মানুষজন বিষয়টি নিয়ে খুব একটা আগ্রহী হননি। তবে এবার যখন পুলিশের হাতে ধরা পড়ল তখন দেখা গেল, কন্টেনারের ভিতরে আদৌ দুধ বা খাদ্যসামগ্রী নেই। ভরা আছে বস্তা বস্তা কয়লা। আর তাতে রহস্য ফাঁস।
পুলিশের কাছে বেশ কিছুদিন ধরেই গোপন সূত্রে খবর আসে কয়লা চোরেরা পাচারের কাজে দুধ সরবরাহের গাড়ি ব্যবহার করছে। সেই বিষয়টি নিয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের থানাগুলি সচেতন ছিল। তবে এ বিষয়ে সাফল্য এল জামুড়িয়া পুলিশের হাতে। এর আগে দুধের কন্টেনারে গরু পাচারের হদিশ মিলেছিল। এবার দুধের গাড়িতে ও খাদ্যসামগ্রীর গাড়িতে কয়লা পাচারের ঘটনাও সামনে এল।
[আরও পড়ুন: ওষুধে অনিয়ম, বারবার ভেঙেছে ঘুম! সিবিআই হেফাজতে কেমন কাটল পার্থর প্রথম রাত?]
Source: Sangbad Pratidin