শেখর চন্দ্র, আসানসোল: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) এবার কটাক্ষ টি শার্টে! তৃণমূল কর্মীদের গায়ে থাকা টিশার্টে লেখা ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’। যদিও তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, পুজোর সময় যাতে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে না পড়ে, সে কারণেই সতর্কতা। রাস্তায়, বাজারে বা মণ্ডপে ভিড় থেকে দূরে থাকার পরামর্শ।
উল্লেখ্য, নবান্ন অভিযানে বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারি লেডি পুলিশকে ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’ বাক্যটি ব্যবহার করেছিলেন। এই বাক্যটিকে মিম বানিয়ে শুক্রবার যুব তৃণমূল নেমে পড়ল রাস্তায়। দলের রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কুলটি নিয়ামতপুর বাজারে যুব তৃণমূল কর্মীরা বাজারে ঘুরে বেড়ান। সাধারণ মানুষকে তফাৎ দূরত্বে থাকার পরামর্শ দেন। শুভেন্দুর মুখনিসৃত বাক্যকে ব্যঙ্গ করেই বাজারে বাজারে ঘুরে বেড়ান তাঁরা। ডোন্ট টাচ মাই বডি, আই এম মেল লেখা গেঞ্জি পরে বাজারও করেন তাঁরা৷ বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যদি নিজেদের পরিচয় দিতে এভাবে কেউ কথা বলে থাকেন, তার থেকে নিজের বুকে লিখে ঘুরুন যে তিনি মেল না ফিমেল। এর থেকে দুঃখজনক আর কিছু হয় না৷ এই মন্তব্যের কটাক্ষ করার জন্যই আমাদের কর্মী সমর্থকরা অভিনব কর্মসূচি নিয়েছে।’’
[আরও পড়ুন: বিজেপির নবান্ন অভিযান: পুলিশ অফিসারকে মারধরের ঘটনায় দত্তপুকুর থেকে গ্রেপ্তার আরও তিন]
উল্লেখ্য, এর আগে শুভেন্দু অধিকারীর ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’ মন্তব্যের আঁচ পড়ে বিধানসভাতেও। বিক্ষোভ, পালটা বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে অধিবেশন কক্ষ। তৃণমূলের মহিলা বিধায়করা ঘরোয়া আলোচনায় শুভেন্দুর ওই মন্তব্য নিয়ে রীতিমতো হাসাহাসি করেন। এরপর বিধানসভায় বড় বড় পোস্টার নিয়ে হাজির হন তাঁরা। তৃণমূল (TMC) বিধায়কদের পোস্টারগুলিতে লেখা, ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি, আই অ্যাম মেল, মোদিজির ইঞ্চি ছাতির Tale।’ ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি, আই অ্যাম মেল, অল ইওর পলিসিস উইল ফেইল’, ‘আচ্ছে দিনের সরকার ইজ এ ফেয়ারিটেইল, ডোন্ট টাচ মাই বডি, আই অ্যাম মেল।’ সেই সঙ্গে তৃণমূল বিধায়কদের পালটা স্লোগান, ‘চোর চোর চোরটা। শিশিরবাবুর ছেলেটা।’
দু’পক্ষের স্লোগানে রীতিমতো হট্টগোল শুরু হয়ে যায় অধিবেশন কক্ষে। এরপরই ওয়াক-আউট করে বিজেপি। বিধানসভা কক্ষের সামনে সিড়ির উপর এসে বসে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। সমানে চলতে থাকে সরকার বিরোধী স্লোগান। এরপর নজিরবিহীনভাবে শাসকদলের বিধায়করাও অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। তাঁরা গোটা বিধানসভা চত্বর জুড়ে মিছিল করেন। সেই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন একেবারে শীর্ষস্তরের নেতারা। দু’পক্ষের বিক্ষোভ পালটা বিক্ষোভে রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় বিধানসভা চত্বরে।
[আরও পড়ুন: বাগুইআটি জোড়া খুন: দিল্লি থেকে ধৃত ‘সুপারি কিলার’ কানহাইয়া কুমার]
Source: Sangbad Pratidin