রাহুল রায়: স্কুলের মিড-ডে মিলের (Mid Day Meal) খাবার চুরির মতো চাঞ্চল্যকর অভিযোগ কলকাতা হাই কোর্টে। খোদ স্কুলেরই টিচার-ইন-চার্জের বিরুদ্ধে এই অভিযোগে সরব হয়েছেন এক শিক্ষিকা। আদালতে তৃপ্তি প্রামাণিক নামে ওই শিক্ষিকার আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, সঠিক নিয়মে পড়ুয়াদের খাবার দেওয়া তো দুরস্ত, নিয়মিত পঠনপাঠনও হয় না স্কুলে। মামলায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। ২৪ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানিতে মুখবন্ধ খামে ডিএমকে এই রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)।
মামলাকারি তৃপ্তি প্রামানিকের আইনজীবী সুদীপ ঘোষ চৌধুরী জানান, বদলি হয়ে ২০১৭ সাল থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কামারপোল এফপি স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন শিক্ষিকা তৃপ্তি। সেই থেকেই দেখে আসছেন এই অনিয়মের ঘটনা। টিচার ইনচার্জ চন্দন ভান্ডারী নিয়মিত সময়ে কোনওদিন স্কুলে আসেন না। কোনও এক সময় এসে রেজিস্টার খাতায় সই করে চলে যান।
[আরও পড়ুন: Pushpanjali #ChantBangla: এবার পুজোয় বিশ্বজুড়ে বাঙালি অষ্টমীর অঞ্জলি দেবে বাংলায়]
আরও অভিযোগ, এ নিয়ে ব্লক প্রশাসনের কাছে স্কুলের যে মাথাপিছু পড়ুয়ার সংখ্যা রয়েছে, সেখানে পড়ুয়াদের হাজিরাও বেশি করে দেখানো হয়েছে। ওই অতিরিক্ত সংখ্যক পড়ুয়ার খাবার এবং মাথাপিছু খরচ টিচার ইনচার্জ নিজের পকেটে ভরেন বলে অভিযোগ শিক্ষিকার। পঠনপাঠনে অনিয়ম-সহ বাচ্চাদের মিড-ডে মিলে অনিয়ম নিয়ে সরব হওয়ায় হুমকির শিকার হয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বেশভূষা বদলেও শেষরক্ষা হল না, নবান্ন অভিযানে ACP’কে মারধরে গ্রেপ্তার আরও ২]
আইনজীবী আরও জানান, এ নিয়ে বৈঠকে ওই শিক্ষকের দোষ স্বীকার করে নেন সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক (BDO)। তবে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি তিনি। পরে জেলা স্তরেও শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান তৃপ্তি প্রামাণিক। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ, স্কুল পরিদর্শক এবং জেলাশাসককে অভিযোগ জানিয়েও কাজ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন তিনি।
Source: Sangbad Pratidin