স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানের সময় দলীয় কর্মীদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলে নয়া পদক্ষেপ বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। ঘটনার বিস্তারিত তথ্য নিতে বাংলায় দল পাঠাচ্ছে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) নির্দেশে পাঁচ সদস্যের কমিটি বাংলায় গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট তৈরি করবে বলে বিজেপির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
কমিটিতে আছেন, চার বিজেপি সাংসদ ব্রিজলাল, রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর, অপরাজিতা সারঙ্গী, সমীর ওঁরাও এবং প্রাক্তন সাংসদ সুনীল জাখর। বাংলায় এসে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে, কথা বলে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দেবে বিজেপির এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। এর আগে হাঁসখালি গণধর্ষণ এবং বগটুই গণহত্যা কাণ্ডেও একইভাবে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠায় বিজেপি। দুই ক্ষেত্রেই বিজেপির কমিটির রিপোর্টে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: Pushpanjali #ChantBangla: এবার পুজোয় বিশ্বজুড়ে বাঙালি অষ্টমীর অঞ্জলি দেবে বাংলায়]
উল্লেখ্য, বিজেপির নবান্ন অভিযানকে (Nabanna Rally) কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ১৩ সেপ্টেম্বর। অভিযানের শুরুতেই দলের তিন মুখ শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), এবং সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ময়দান ছাড়লেও কর্মীরা রীতিমতো জঙ্গি আন্দোলন শুরু করে দেয়। নেতারা না থাকায় কর্মীদের আগ্রাসী মনোভাব নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাও হয়নি। যার ফলে ভাঙচুর, পুলিশের উপর আক্রমণ, পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানোর মতো ঘটনা ঘটেছে। এমনকী কলকাতা পুলিশের এসিপি দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে বেধড়ক মারধর করারও অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। হাত ভেঙে যায় তাঁর। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
[আরও পড়ুন: বেশভূষা বদলেও শেষরক্ষা হল না, নবান্ন অভিযানে ACP’কে মারধরে গ্রেপ্তার আরও ২]
যদিও বিজেপির দাবি, সেদিনের অভিযান দমন করতে পুলিশ তাঁদের কর্মীদের উপর অত্যাচার করেছে। প্রকাশ্যে বঙ্গ বিজেপির পাশে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে রাজ্য সরকার ও পুলিশের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করছেন রবিশংকর প্রসাদ ও অমিত মালব্যর মতো কেন্দ্রীয় নেতারা। তারপরই রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া নেতৃত্ব।
Source: Sangbad Pratidin