বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: শারদোৎসবে বঙ্গে জনসংযোগ ব্যাপক বাড়াতে হবে। তাই বিশ্বকর্মা পুজো থেকে গান্ধীজয়ন্তী। ‘সেবাপক্ষ’ পালনের সিদ্ধান্ত বিজেপির। এই পনেরো দিন জনসংযোগ বাড়াতে কী কী ধরনের কর্মসূচি নিতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করতে রাজ্যে যাচ্ছেন নবনিযুক্ত পর্যবেক্ষক মঙ্গল পান্ডে ও সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। রাজ্যনেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা। সেইসঙ্গে শীর্ষনেতৃত্বের বার্তা পৌঁছে দেবেন বলে জানা গিয়েছে। আবার লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বাংলার কিছু সাংসদের দায়িত্ব বাড়ান হতে পারে বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে ইঙ্গিত।
আগামীকাল শনিবার বিশ্বকর্মা পুজোর মধ্যে দিয়ে বাংলায় শারদোৎসবের সূচনা হয়ে যাবে। একমাস উৎসবে মেতে থাকবে আপামর বাঙলাবাসী। প্রথম পনেরোদিন ‘সেবাপক্ষ’ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। জনসংযোগ বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে তাঁর মেয়াদকালে উন্নয়নের ফিরিস্তি বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু রাজ্যের আদিবাসী এলাকায় যেখানে দুর্গাপুজোর চল কম সেখানে সেবামূলক কর্মসূচি নিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দরিদ্র মানুষের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ, এলাকায় সাফাই অভিযানের মতো কর্মসূচি নিতে হবে সাংসদ ও বিধায়কদের। জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের মধ্যে সম্মম্বয় রেখেই ‘সেবাপক্ষ’ অভিযান চালাবে বলে জানান মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু।
[আরও পড়ুন: ‘মহিলা নয়, পুরুষের স্পর্শ পছন্দ, বহু ছেলেকে নিজের কাছে রাখেন’, বিস্ফোরক শুভেন্দুর প্রাক্তন অনুগামী]
সাংগাঠনিক দুর্বলতা ও শারদোৎসব পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করতে রাজ্যে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, তিন সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী, সতীশ ধনদ ও জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকে সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের থাকার কথা থাকলেও তিনি বৈঠক এড়িয়ে যেতে পারেন বলে সুত্রের খবর।
আবার ঠোটকাঁটা দিলীপবাবু বৈঠকে থাকুন ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীও চাইছে না। তিনি মুখ খুললে অনেককেই সমস্যায় পরতে হতে পারে। তাই বৈঠকে দিলীপের না থাকার সম্ভাবনাই বেশি। এদিকে, পুজোর কয়েকদিন রাজ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের বাংলায় থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন জে পি নাড্ডা, বি এল সন্তোষরা। সুযোগ সময় পেলে পুজো চলাকালীন উপরাষ্ট্রপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও জে পি নাড্ডারাও রাজ্যে যেতে পারেন বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর।
[আরও পড়ুন: বাম ছাত্র সংগঠনের কলকাতা পুরসভা অভিযানে ধুন্ধুমার, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, ভাঙল ব্যারিকেড]
Source: Sangbad Pratidin