সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরে কাজে গিয়ে বাংলার শ্রমিক আক্রান্ত হওয়ার পর দু’সপ্তাহও পেরোয়নি। হামলাকারী দুই জেহাদিকে খুঁজে বের করে নিকেশ করল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। বুধবার রাতে উপত্যকার নওগাঁয় সেনা এবং কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অপারেশনে আল কায়দার এক শাখা সংগঠনের দুই জঙ্গি নিকেশ হয়েছে। জানা গিয়েছে, এরা দু’জনই চলতি মাসের শুরুতে পুলওয়ামায় বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের উপর হামলার সঙ্গে যুক্ত।
Op Dangerpur, #Naugam.
Jt op was launched yesterday evening.
Area cordoned & contact established.
Firefight ensued & 02 terrorists eliminated.
01xAK Rifle, 02xPistols & other war like stores recovered.
Jt op over.#Kashmir @adgpi @NorthernComd_IA @JmuKmrPolice pic.twitter.com/QNpPzvpxg2
— Chinar Corps – Indian Army (@ChinarcorpsIA) September 15, 2022
কাশ্মীর পুলিশের (Kashmir Police) তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, সেনা এবং পুলিশের যৌথ অভিযানের সময় নওগাঁ এলাকায় লুকিয়ে থাকা ওই জেহাদিরা অতর্কিতে টহলদারি বাহিনীর উপর হামলা করে। পালটা গুলি চালায় যৌথ বাহিনী। বেশ কিছুক্ষণের গুলির লড়াইয়ের পর দুই জেহাদি নিকেশ হয়েছে। এদের কাছ থেকে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই দুই জেহাদির কাছে একটি AK রাইফেল, দুটি পিস্তল, বেশ কিছু গুলি এবং বোমা উদ্ধার হয়েছে।
[আরও পড়ুন: জাতীয় সংগীত থেকে বাদ ‘বঙ্গ’ ও ‘উৎকল’! যোগী সরকারের ‘ভুল’ ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে]
কাশ্মীর পুলিশ সূত্রের খবর, নিকেশ হওয়া দুই জঙ্গির নাম আইয়াজ রসুল নজর এবং শাহিদ আহমেদ ওরফে আবু হামজা। এরা দু’জনেই আনসার গাজওয়াত উল হিন্দ নামের একটি জঙ্গি সংঠনের সঙ্গে যুক্ত। এই জঙ্গি সংগঠনটি আল কায়েদারই একটি শাখা সংগঠন। কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, এই দুই জেহাদি একাধিক জঙ্গি হামলার সঙ্গে যুক্ত। যার মধ্যে রয়েছে গত ২ সেপ্টেম্বর বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক হত্যাও।
[আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে থাকবেন রাষ্ট্রপতি, শনিবার লন্ডন যাচ্ছেন দ্রৌপদী মুর্মু]
গত ২ সেপ্টেম্বর পুলওয়ামায় (Pulwama)এক বাঙালি শ্রমিকের উপর হামলা চালায় দুই সন্ত্রাসবাদী। দুটি গুলি লাগে মনিরুলের শরীরে। জঙ্গিদের গুলিতে আহত যুবকের নাম মনিরুল ইসলাম। উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) করণদিঘি ব্লকের দীঘলগাঁওয়ের বাসিন্দা তিনি, চার মেয়ের বাবা। ভাগ্য ফেরাতে তিনি গিয়েছিলেন কাশ্মীরে কাজ করতে। শ্রমিকের কাজ করতেন মনিরুল।
Source: Sangbad Pratidin