সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের ঐক্যকে ধরে রাখতে হিন্দি ভাষার গুরুত্ব অপরিসীম। বুধবার হিন্দি দিবসে এমন কথাই বলতে শোনা গেল শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে। হিন্দি (Hindi) বনাম আঞ্চলিক ভাষা বিতর্ক আজকের নয়। সাম্প্রতিক অতীতে দেশের প্রধান ভাষা হিসেবে হিন্দির পক্ষে সওয়াল করছেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। যা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। এবার শিক্ষামন্ত্রীর মুখে শোনা গেল এমন কথা।
এদিন তিনি টুইটারে একটি পোস্ট করে লেখেন, ‘ভারতে বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যকে গড়ে তুলতে হিন্দি ভাষার প্রসারে সবচেয়ে বড় অবদান তাঁদের, যাঁদের মাতৃভাষা হিন্দি ছিল না। ভাষা হল চেতনা। ভাষার প্রসার ও সুরক্ষার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।’
भारत की अनेकता को एकता के सूत्र में पिरोने वाली हिन्दी भाषा के संवर्धन में सबसे बड़ा योगदान उनका रहा है जिनकी मातृभाषा हिन्दी नहीं थी।
भाषा चैतन्य होती है। भाषा के समवर्धन और संरक्षण के लिए निरंतर प्रयास जारी रहना चाहिए। #HindiDiwas2022 pic.twitter.com/zJClHqX1Bm
— Dharmendra Pradhan (@dpradhanbjp) September 14, 2022
[আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে থাকবেন রাষ্ট্রপতি, শনিবার লন্ডন যাচ্ছেন দ্রৌপদী মুর্মু]
अनेकों भाषाओं-बोलियों को समेटे हिंदी भाषा का भारत को एकता के सूत्र में बांधने में विशेष स्थान रहा है। विश्व की अनेकों भाषाओं में भी आज हिन्दी शब्दों का उपयोग होने लगा है।
हिन्दी दिवस पर सभी को शुभकामनाएं।आइए अपनी मातृभाषा के साथ हिन्दी के उत्थान में भागीदार बनने का संकल्प लें। pic.twitter.com/UNb4Bv8SbC
— Dharmendra Pradhan (@dpradhanbjp) September 14, 2022
পাশাপাশি তিনি আরও লেখেন, ‘হিন্দি ভাষার পরিপ্রেক্ষিতে বলতে পারি, আমাদের সংবিধানের রচয়িতাদের পরিষ্কার মত ছিল, দেশের ঐক্য এবং অখণ্ডতার জন্য হিন্দি ভাষাকে জাতীয় স্তরে ব্যবহার করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এর ব্যাপকতা এবং উদারতার কারণে, হিন্দি আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থারও পরিপূরক।’
সাম্প্রতিক সময়ে বারবার হিন্দি আগ্রাসনের অভিযোগ উঠেছে। যদিও বিজেপির দাবি, হিন্দি নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। আসলে সরকারি কাজে এবং যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ইংরেজির পরিবর্তে হিন্দির ব্যবহার বাড়ানোর পক্ষে অমিত শাহ সওয়াল করার পর থেকেই এই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। ভিন্ন রাজ্যের মানুষ পরস্পরের সঙ্গে হিন্দিতে যাতে কথা বলেন, তেমন প্রস্তাবও দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর এহেন মন্তব্যের পরে অভিযোগ ওঠে, বহু ভাষাভাষীর দেশে কার্যত হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: বেগুসরাইতে বন্দুকবাজের হানা, ৩০ কিমি রাস্তায় চলল গুলি, মৃত এক]
অমিত শাহর মন্তব্যের পরে দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়। বিশেষ করে দক্ষিণের রাজ্যগুলি তীব্র নিন্দায় মুখর হয়। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনকে বলেছিলেন, “অমিত শাহ কি মনে করেন, ‘হিন্দি রাজ্য’ থাকলেই যথেষ্ট? ‘ভারতীয় রাজ্য’ দরকার নেই? সবার জন্য এক ভাষা থাকলেই ঐক্য নিশ্চিত হয় না। সামঞ্জস্য থাকলেও ঐক্য আসে না।” এরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ‘মন কি বাত’ (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠানে আঞ্চলিক ভাষায় জোর দেওয়ার কথা বলেন। মনে করা হয়েছিল, বিতর্কে ধামাচাপা দিতেই এহেন মন্তব্য মোদির। বুধবার ফের শিক্ষামন্ত্রীকে দেখা গেল হিন্দির পক্ষে সওয়াল করতে।
Source: Sangbad Pratidin