ক্ষিরোদ ভট্টাচার্য: ‘উনি বলছেন মহিলাদের অপছন্দ করেন, পুরুষ পছন্দ করেন।’ বিজেপির নবান্ন অভিযানে আহত কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে হাসপাতালে দেখে বেরনোর পর শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে বলতে গিয়ে এমনই কথা বললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’ এই হুঁশিয়ারি বাক্যই যেন বিজেপির মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানের ‘পরম প্রাপ্তি’। মহিলা পুলিশের উদ্দেশে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) এহেন সংলাপ ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা মিম। এদিন এসএসকেএম থেকে বেরনোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অভিষেক। সেই সময়ই তাঁর মুখেও শোনা যায় শুভেন্দু প্রসঙ্গ।
[আরও পড়ুন: ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’, বিধানসভায় শুভেন্দুকে নিয়ে হাসাহাসিতে মশগুল মহিলা বিধায়করা]
বিজেপির মঙ্গলবাসরীয় অভিযানের আসল উদ্দেশ্য জনতার হয়ে দাবি তোলা নয়, বরং হিংসার আবহ তৈরি করা। এদিন এমন কথাই বলতে শোনা যায় অভিষেককে। এরপর অভিষেকের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় শুভেন্দুর তাঁকে ‘লম্পট’ ও ‘ডাকাত’ বলা নিয়ে তৃণমূল নেতা কটাক্ষ করে বলেন, ”উনি বলছেন, ডোন্ট টাচ মাই বডি। আই অ্যাম মেলস। ইউ আর লেডি। এর মানে কী? আমি তো বুঝতেই পারছি না। উনি বলছেন মহিলাদের মা দুর্গা হিসেবে দেখেন। তাহলে মা দুর্গা যদি আপনার পিঠে বা কাঁধে হাত দিয়ে ভ্যানে উঠতে বলেন, তাতে রেগে যাওযার কী হল।” অভিষেকের প্রশ্ন, ”ওঁর গায়ে এত জ্বালা কেন? মেল পুলিশ টাচ করবেন, ফিমেল পুলিশ টাচ করবেন না! তার মানে কী?” অভিষেকের এদিনের খোঁচা থেকে পরিষ্কার, তিনি কার্যত বিরোধী দলনেতার যৌন সত্তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন।
সেই সঙ্গে অভিষেক এই প্রশ্নও তোলেন, মহিলাদের প্রতি শুভেন্দুর সত্যিই এমন মনোভাব থাকলে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সম্ভাষণ করতে গিয়ে অপশব্দ প্রয়োগ করেন কেন। উল্লেখ্য, এদিন বিজেপির নবান্ন অভিযান নিয়ে ফুঁসে উঠতে দেখা যায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। অভিষেকের দাবি, নবান্ন অভিযানের নামে আসলে বর্বরতা করেছে বিজেপি। গুন্ডামি, ভণ্ডামি হয়েছে। এটা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনার পুনরাবৃত্তি বলেই তোপ দাগেন তরুণ নেতা।
[আরও পড়ুন: ‘আমাকে বাঁচতে দিন, দয়া করে জামিন দিন’, আদালতে কেঁদে ফেললেন পার্থ]
Source: Sangbad Pratidin