সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাসে আগে ত্রিপুরায় বড়সড় শক্তিবৃদ্ধি তৃণমূলের। ঘাসফুল শিবিরে মিশে গেল ত্রিপুরা ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। ফ্রন্টের সভাপতি পূজন বিশ্বাসের নেতৃত্বে গোটা দল মিশে গিয়েছে তৃণমুল কংগ্রেসে। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠকে টিডিএফের শীর্ষ নেতৃত্ব তৃণমূলে যোগ দেয়। উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সুস্মিতা দেব, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রা (Rajib Banerjee)।
তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর ত্রিপুরা ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সভাপতি পূজন বিশ্বাস জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। উল্লেখ করা যেতে পারে, পূজন বিশ্বাস ছিলেন প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সভাপতি। পূজন বিশ্বাসের পিতা পীযূষ কান্তি বিশ্বাস (Pijush Kanti Bishwas) রাজ্যের প্রখ্যাত আইনজীবী। তিনি ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি। পীযূষ বিশ্বাসকে প্রদেশ কংগ্রেসের (Congress) সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরই পূজন কংগ্রেস ছাড়েন। গড়ে তোলেন আঞ্চলিক দল ত্রিপুরা ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (Tripura Democratic Front)। পূজন বিশ্বাসের পিতা পীযূষ বিশ্বাস এই দলের উপদেষ্টা পদে রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ‘মুখে বলে প্রমাণ করতে হল তিনি পুরুষ’, ‘আলুভাতে’র পর শুভেন্দুকে নয়া কটাক্ষ কুণালের]
পূজন বিশ্বাস (Pujan Bishwas) জানিয়েছেন, TDF’র উপদেষ্টা মণ্ডলীতে যারা রয়েছেন তাদেরকেও তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের জন্য আবেদন জানানো হবে। তারাও তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন বলে তিনি আশাবাদী। কিছুদিন আগে দলবিরোধী কাজের জন্য দলের রাজ্য সভাপতি সুবল ভৌমিককে পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল। আসলে সুবল দলে থেকেও বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। সুবলের সেই দলত্যাগে কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছিল ঘাসফুল শিবির। সেই ধাক্কা সামলে নিল তৃণমূল। ত্রিপুরা ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (TDF) দলের সঙ্গে মিশে যাওয়ায় অনেকটাই বাড়ল তৃণমূলের শক্তি।
[আরও পড়ুন: ‘পুলিশই চেয়েছিল গাড়ি জ্বলুক’, নবান্ন অভিযানে অশান্তি নিয়ে মন্তব্য দিলীপের, পালটা তোপ শান্তনুর]
এ প্রসঙ্গে ত্রিপুরা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, বিজেপির বিরুদ্ধে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই লড়াই করে। কংগ্রেস-সহ বাকি দলগুলো বরাবরই বিজেপির কাছে আত্মসমর্পন করেছে। আগামী দিনে ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) শক্তি আরও বাড়বে বলে তিনি দাবি করেছেন। সুস্মিতা দেব বলেছেন, ২০২৩-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির মূল প্রতিপক্ষ হয়ে উঠবে তৃণমূল কংগ্রেসই।
Source: Sangbad Pratidin