অর্ণব আইচ: বিজেপির নবান্ন অভিযানে আহত হয়েছেন বহু পুলিশ কর্মী। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মধ্য কলকাতার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি তিনি। তাঁকে দেখতে বিকেলে হাসপাতালে যেতে পারেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এদিকে পুলিশকে মারধর ও গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪ জনকে। আজই তাঁদের আদালতে তোলা হবে।
মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশ-বিজেপি খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। বিজেপি কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হন প্রচুর পুলিশ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মধ্য কলকাতার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়, জোড়াবাগান থানার অতিরিক্ত ওসি সরফরাজ আহমেদ। মহাত্মা গান্ধী রোড ও সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে দু’জনকে ঘিরে ধরে লাঠি ও বাঁশ দিয়ে গণধোলাই দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মহাত্মা গান্ধী রোড ও রবীন্দ্র সরণির সংযোগস্থলের কাছে কলকাতা পুলিশের পিসিআর গাড়িতে প্রথমে ভাঙচুর করে জনা বারো বিজেপি কর্মী। আতঙ্কে পুলিশকর্মীরা দূরে সরে গেলে গাড়িতে আগুন লাগায় তিনজন। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে একটি পুলিশের কিয়স্কও ভাঙচুর করা হয়।
[আরও পড়ুন: ‘মুখে বলে প্রমাণ করতে হল তিনি পুরুষ’, ‘আলুভাতে’র পর শুভেন্দুকে নয়া কটাক্ষ কুণালের]
নবান্ন অভিযানে লালবাজারের সামনে ১৪৪ ধারা ভাঙার অভিযোগে হেয়ার স্ট্রিট থানা, পুলিশকে ইট দিয়ে হামলার অভিযোগে বউবাজার থানা, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে বড়বাজার থানা, ওসিকে মারধরের অভিযোগে বড়বাজার থানা, অতিরিক্ত ওসিকে মারধরের অভিযোগে জোড়াসাঁকো থানা, হাওড়া ব্রিজের কাছে গোলামালের অভিযোগে উত্তর বন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। শুরু হয় তদন্ত। রাতেই সিসিটিভি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে বেলেঘাটা ও শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ৪ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, আহত পুলিশকর্মী দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে দেখতে বুধবার বিকেলে এসএসকেএম হাসপাতালে যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্ত চলছে। পুলিশকে মারধর ও সরকারি সম্পত্তি নষ্টের ঘটনায় সমস্ত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হবে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই বিজেপির এই অভিযানের নিন্দা করে টুইট করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে প্রত্যাখ্যানের ডাক দিয়েছিলেন।
[আরও পড়ুন: ‘পুলিশই চেয়েছিল গাড়ি জ্বলুক’, নবান্ন অভিযানে অশান্তি নিয়ে মন্তব্য দিলীপের, পালটা তোপ শান্তনুর]
Source: Sangbad Pratidin