সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়ি, অফিসে সিবিআই তল্লাশির পর এবার দিল্লির ইডি দপ্তরে হাজিরার জন্য সমন পাঠানো হল রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে (Malay Ghatak)। যদিও ইডির তরফে কোনও নোটিস পাননি বলে দাবি তুলে ঘনিষ্ঠ মহলে মলয়বাবু জানান, বুধবার তাঁর হাজিরা দেওয়ারও প্রশ্ন নেই। প্রসঙ্গত, এর আগে কয়লা পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি (ED) দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বারবারই হাজিরা এড়িয়েছেন। এবারও নোটিস পাননি, দাবি করে ইডি দপ্তরে হাজির দিলেন না রাজ্যের মন্ত্রী।
ঠিক এক সপ্তাহ আগে, গত বুধবার সাতসকালে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই (CBI)। আসানসোলে তাঁর তিনটি বাড়িতে চলে তল্লাশি। এমনকী, কলকাতায় থাকা মন্ত্রীর ৩ বাড়িতেও তল্লাশি চলেছে। শুধুমাত্র আসানসোলে (Asansol) মন্ত্রীর বাড়িতে নয়, সিবিআই হানা দিয়েছে কলকাতার চার এলাকাতেও। কয়লা পাচার (Coal scam) সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের হদিশ পেতেই এই অভিযান। তল্লাশির সময় প্রতিটি বাড়ির বাইরে সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছিল। সিবিআইয়ের এই তৎপরতায় ক্ষুব্ধ মলয় অনুগামীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। রাস্তাও অবরোধ করে রাখা হয়। প্রায় গোটা দিনই তল্লাশি চলেছিল।
[আরও পড়ুন: উলটপুরাণ! ভারতের শত্রু মাসুদ আজহারের গ্রেপ্তারি চাইছে পাকিস্তান]
সিবিআইয়ের ‘অতি সক্রিয়তা’কে অবশ্য চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছিলেন মলয় ঘটক। তিনি ও তাঁর স্ত্রী হাসিমুখেই অফিসারদের জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করেন। পরে সিবিআই আধিকারিকদের আচরণের প্রশংসাও করেছিলেন মন্ত্রীর স্ত্রী সুদেষ্ণা ঘটক। মন্ত্রীকেও দিনশেষে কার্যত যুদ্ধজয়ের ভঙ্গিতে দেখা গিয়েছিল। ওই তল্লাশির একসপ্তাহ পরই তাঁকে দিল্লির ইডি দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। তবে সমনের নোটিস পাননি বলে হাজিরা দিলেন না মলয় ঘটক।
[আরও পড়ুন: ভরা বাজারে ৩৫০ ভরি রুপো ছিনতাই, মহিলা ডাকাতদলের পাল্লায় পড়ে সর্বহারা পরিবার]
এদিকে, কয়লা পাচার মামলায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত (CBI Court)। মূল অভিযুক্ত লালা ওরফে অনুপ মাজির ঘনিষ্ঠ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হল। এদের নাম কয়লা কেলেঙ্কারির চার্জশিটে ছিলই। এবার দ্রুত গ্রেপ্তারির নির্দেশ দেওয়া হল।
Source: Sangbad Pratidin