রাহুল রায়: কল্যাণী এইমসের নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবিতে হওয়া মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের (Kolkata High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই আবেদন খারিজ করে দেয়। যার অর্থ, আগের মতোই এই মামলার তদন্ত করবে সিআইডি।
কল্যাণী এইএমস দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন সুজিত চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্টত জানিয়ে দিয়েছে, এই মামলায় সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ সিআইডির হাতেই থাকল মামলার তদন্তভার।
[আরও পড়ুন: এশিয়া কাপে স্টেডিয়ামে বসে দলকে সমর্থন করেছেন, কে এই রহস্যময়ী সুন্দরী?]
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিজেপির দুই সাংসদ এবং দুই বিধায়ক-সহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এফআইআরে নাম রয়েছে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার (Subhash Sarkar), রানাঘাট লোকসভার সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা, চাকদহ বিধানসভার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ, কল্যাণী এইমসের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রামজি সিং-সহ মোট ৮ জনের। এঁদের মধ্যে অন্যতম বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা। তাঁর মেয়ে মৈত্রী দানা কল্যাণী এইমসে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে চাকরি পেয়েছেন। তাঁর মাসিক বেতন ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু মৈত্রী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তিনি অংশ না নিয়েই চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ ছিল মামলাকারীর। আর নিজের মেয়েকে বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা। মামলাকারীর আরও অভিযোগ, মৈত্রীর নিয়োগে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) সাংসদ সুভাষ সরকারের হাত রয়েছে। এছাড়া রাজ্যের কয়েকজন বিজেপি নেতার ঘনিষ্ঠকে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: ‘সুপ্রিম কোর্ট আরবি পড়ে কোরানের অর্থ বলতে পারে না’, হিজাব মামলায় দাবি মুসলিম পক্ষের]
সব মিলিয়ে বিজেপির দুই সাংসদ এবং দুই বিধায়ক-সহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে নদিয়ার কল্যাণীর এইমসে নিজেদের আত্মীয়দের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ৮ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে এফআইআর (FIR)। কল্যাণী থানায় প্রথমে এফআইআর দায়ের হওয়ার পর সেই দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের ভার নেয় সিআইডি।
Source: Sangbad Pratidin