বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: রাজপাট ছাড়ছেন। ছেলে তেজস্বী যাদবের (Tejashwi Yadav) কাঁধে দায়িত্ব সপে রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত আরজেডি (RJD) সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের (Lalu Prasad Yadav)। অক্টোবর মাসে দিল্লিতে দলের জাতীয় কনভেনশনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আরজেডি সূত্রে খবর।
লালুর সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি (BJP)। যিনি পরিবারকে এক করে রাখতে পারেন না তিনি কীভাবে দল এক রাখবেন। কটাক্ষ কেন্দ্রীয়মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের। এদিকে, সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) দেশে ফিরলে দুই প্রবীণ রাজনীতিক লালুপ্রসাদ ও নীতিশ কুমার (Nitish Kumar) তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি (Delhi) আসবেন বলে জানা গিয়েছে। বিজেপি বিরোধী জোট নিয়ে কথা বলতেই সোনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
[আরও পড়ুন: আগস্ট মাসে ফের বেড়েছে খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার]
সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বহু উত্থান পতনের সাক্ষী তিনি। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থেকে কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। আবার দুর্নীতির অভিযোগে কারাবাসও করতে হয়েছে। বয়সের ভারে ন্যুজ লালুপ্রসাদ এখন মানসিক ও শারিরীকভাবে সক্রিয় রাজনীতি থেকে অনেক আগেই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। তবে দলের কোনও সঙ্কট হলেই অবতারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তাঁর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে মনে করে আরজেডির নেতাকর্মীরা। মেঘনাথের মতো আড়াল থেকে দলের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু এবার রাজনাতি থেকে অবসর নেওয়ার সময় সময় এসে গিয়েছে আরজেডি সুপ্রিমোর।
[আরও পড়ুন: মাদকের নেশায় চুর, সোজা হয়ে দাঁড়াতেই পারছেন না মহিলা..]
৯ অক্টোবর দিল্লির তালকোটরা স্টেডিয়ামে হবে আরজেডির সর্বভারতীয় সম্মেলন। পরের দিন বসবে দলের জাতীয় পরিষদের সভা। ইতিমধ্যে আরজেডির সর্বভারতীয় সভাপতি হিসাবে লালুপ্রসাদের ছোট ছেলে তেজস্বী যাদবের নাম নিয়ে দলের অভ্যন্তরে আলোচনা শুরু হয়েছে। সিংহভাগ প্রবীণ নেতা তাঁর নামে সিলমোহর দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু তেজস্বী নিজে অবশ্য এখনই সভাপতি পদে বসতে রাজি নয়। তাঁর মতে লালুপ্রসাদ এখনও দলের জন্য অপরিহার্য।
সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তিনি সবচেয়ে অভিজ্ঞ। তাঁর রাজনীতিতে থাকা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু সময় থাকতেই ছোট ছেলের হাতে দলের পূর্ণ দায়িত্ব দওয়ার পক্ষেই লালুপ্রসাদ। শুধুমাত্র পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করতে চান বলে প্রবীণ নেতাদের জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। কিন্তু তেজস্বীকে দায়িত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি রয়েছে দলের একাংশের। তাঁদের আপত্তির কারণ তেজস্বীর একরোখা মনোভাব। অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ নেত়ত্বকে এড়িয়ে যান। একাই সিদ্ধান নেন।
Source: Sangbad Pratidin