সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুদিন আগে আবাসনের দরজা খুলতে দেরি হওয়ায় এক নিরাপত্তারক্ষীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল নয়ডার (Noida) এক মহিলার বিরুদ্ধে। ওই মহিলাকে পরে গ্রেপ্তারও করা হয়। ফের সেই নয়ডাতেই একটি আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, এক মহিলা আবাসনের একজন নিরাপত্তারক্ষীকে সপাটে চড় মারছেন। অভিযুক্ত মহিলার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। পরে তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি (Viral Video) শনিবারের। ঘটনাটি কোতওয়ালি এলাকার একটি আবাসনের। অভিযুক্ত মহিলার নাম সুতপা দাস। তিনি পেশায় অধ্যাপক। ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, গেটের সামনে দাঁড়িয়ে সুতপা আবাসনের এক নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন। ওই নিরাপত্তারক্ষীকে পরে চড় মারতেও দেখা যায়। বিতর্কিত ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়চড়ে বসে নয়ডা প্রশাসন। অভিযুক্ত সুতপা দাসের বিরুদ্ধ মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলেও জামিনে মুক্তি পান তিনি। এই বিষয়ে কথা বলার জন্য ভুক্তভোগী নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও ফোন ধরেননি তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘মোদির বিরুদ্ধে মুখ না খুললে আমাকেই উপরাষ্ট্রপতি করা হত’, ফের বিস্ফোরক মেঘালয়ের রাজ্যপাল]
প্রসঙ্গত, গত আগস্ট মাসে এক মহিলা নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে বচসায় জড়ান। আবাসনের দরজা খুলতে দেরি হওয়ায় দায়িত্ব থাকা নিরাপত্তারক্ষী তিনি মারধরও করেন। ভাব্যা রায় নামের ও মহিলা মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে আবাসনের দরজার সামনে আসেন। সেখানে সামান্য দেরি হওয়ার কারণে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তাঁর। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ থেকে শুরু করে জাত তুলে কুমন্তব্য, কিছুই বাদ দেননি ভাব্যা। এমনকী একজন নিরাপত্তারক্ষীকে কলার ধরে মাটিতে ফেলে দেন। সেই সঙ্গে চিৎকার করে বলতে থাকেন, মহিলাদের সম্মান করো।
[আরও পড়ুন: দিল্লি সরকারের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ উপরাজ্যপালের, বিপাকে আপ]
সেবারেও গোটা ঘটনা সিসিটিভি ফুটেজে (CCTV Footage) ধরা পড়েছিল। শোনা গিয়েছিল, এক নিরাপত্তারক্ষীকে পুরুষাঙ্গ কেটে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন অভিযুক্ত ভাব্যা রায়। নিরাপত্তারক্ষীর পোশাক ছিঁড়ে দেন তিনি, এমন অভিযোগও ওঠে। পরে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার করা হয়। একের পর এক এমন ঘটনায় সমাজতত্ত্ববিদদের বক্তব্য, আর্থিক বৈষম্য তথা অহঙ্কার থেকেই এমন আচরণ।
Source: Sangbad Pratidin