সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রানির মৃত্যুতে শোকে ডুবে রয়েছে গোটা ইংল্যান্ড (England)। এহেন কঠিন সময়েও নতুন করে দেশবাসীর মনে আশা জাগিয়েছেন রাজকুমার হ্যারি (Harry) ও তাঁর স্ত্রী মেগান (Meghan)। রানির মৃত্যুর পরে যুবরাজ উইলিয়াম ও যুবরানি কেটের সঙ্গে একই ফ্রেমে ধরা দিয়েছেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যতম বিতর্কিত সদস্য হ্যারি। বেশ কয়েক বছর ধরে লাগাতার রাজপরিবারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন হ্যারি ও মেগান। কিন্তু রানির মৃত্যুতে তাঁদের ইংল্যান্ডে আসার পরেই জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে কি মনোমালিন্য ভুলে ফের রাজপরিবারের সঙ্গেই থাকবেন তাঁরা?
উইলিয়াম-কেট এবং হ্যারি-মেগানকে একসঙ্গে ফ্যাব ফোর বলে অভিহিত করত ব্রিটিশ মিডিয়া। ছোটবেলা থেকে উইলিয়াম ও হ্যারির মধ্যে সম্পর্ক খুব ভাল হলেও ছবিতা পালটে যায় হ্যারির বিয়ের পর। কৃষ্ণাঙ্গ মেগানকে বিয়ে করার কারণে রাজপরিবারের অন্দরেই রোষের মুখে পড়তে হয় হ্যারিকে। এমনকি,তাঁদের সন্তানের গায়ের রং নিয়েও বৈষম্যমূলক মন্তব্য করা হয়েছিল রাজপরিবারের তরফে। সব মিলিয়ে রাজপরিবারের কর্তব্য ছেড়ে আমেরিকায় সংসার শুরু করেন হ্যারি-মেগান।
[আরও পড়ুন: অল্পের জন্য রক্ষা, জরুরি অবতরণ ইমরানের বিমানের! দুর্ঘটনা না হত্যার ষড়যন্ত্র, উঠছে প্রশ্ন]
সূত্র মারফত জানা যায়, ব্রিটেনের পরবর্তী রানি কেটের সঙ্গে মেগানের সম্পর্কের অবনতির ফলেই রাজপরিবারের মধ্যে ফাটল ধরেছিল। ২০২১ সালে ওপরা উইনফ্রের চ্যাট শোয়ে এসে মেগান জানিয়েছিলেন, কেটের দুর্ব্যবহারের কারণে তিনি কেঁদে ফেলতেন। গত বছর প্রয়াত ডায়ানার একটি মূর্তি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হ্যারি ও উইলিয়ামকে একে অপরের থেকে বেশ দূরে দূরেই দেখা গিয়েছিল। রানি এলিজাবেথের সিংহাসনে বসার ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষেও একে অপরকে এড়িয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা।
কিন্তু এলিজাবেথের (Queen Elizabeth II) মৃত্যুর পরে প্রকাশ্যে এসেছে একটি ছবি। দেখা যাচ্ছে, শোকের আবহে একে অপরের পাশে দাঁড়াচ্ছেন ফ্যাব ফোর। এই ছবি দেখার পরেই আশায় বুক বাঁধছেন ব্রিটেনের সাধারণ মানুষ। রাজপরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাই হ্যারির সঙ্গে সমস্ত বিবাদ মিটিয়ে নিতে উদ্যোগী হয়েছেন উইলিয়াম। জানা গিয়েছে, আপাতত রানির শেষকৃত্য না হওয়া পর্যন্ত ব্রিটেনেই থাকবেন হ্যারি-মেগান। কিন্তু আদৌ তাঁদের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলবে কিনা, সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে শোকাতুর ব্রিটেন।
[আরও পড়ুন:পাকিস্তানের সামরিক শক্তি বাড়াতে অনুদান আমেরিকার, কড়া বার্তা ক্ষুব্ধ ভারতের]
Source: Sangbad Pratidin