সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসংখ্য মানুষের মৃত্যুর কারণ যে সন্ত্রাসবাদী, তার কবর মাজারে পরিণত হয়েছে, অভিযোগ এমনটাই। ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণে (Mumbai Bomb Blast) দোষী সাব্যস্ত ইয়াকুব মেমনের (Yakub Memon) কবরের সৌন্দার্যায়নে বিতর্ক চরমে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। একজন সন্ত্রাসবাদীর কবর ফুল, মার্বেল পাথর, এলইডি আলো ইত্যাদি দিয়ে সাজানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে গেরুযা শিবির। তাদের অভিযোগ, উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) সরকারের আমলে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বর্তমান সরকার।
মুম্বইয়ের বড়া কবরস্থানে রয়েছে ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে মূল অভিযুক্ত টাইগার মেমনের ভাই ইয়াকুব মেমনের কবর। মুম্বই হামলার ষড়যন্ত্রের কারণে যার ফাঁসির সাজা হয়েছিল। তার সমাধিই মার্বেল স্ল্যাব, ফুল ও এলইডি আলো দিয়ে সাজানোর অভিযোগ। সৌন্দার্যায়নে বিষয়টি প্রকাশ্য আসামাত্র সমাধি থেকে এলইডি আলো খুলে ফেলা হয়। অন্যদিকে কে বা কারা এর সঙ্গে যুক্ত তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
[আরও পড়ুন: রেলের জমি লিজের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩৫ বছর করায় সায় মন্ত্রিসভার, হবে বিপুল কর্মসংস্থান]
আগেই জামা মসজিদের চেয়ারম্যান ইয়াকুবের সমাধি চত্বর সাজানোর কথা স্বীকার করেছে্ন। এর জন্য কারও অনুমতি নেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি। বিজেপির অভিযোগ, এই কাজ উদ্ধব ঠাকরের সরকারের আমলে ঘটে। বিজেপি নেতা রাম কদমের প্রশ্ন, “ভয়ংকর সন্ত্রাসবাদী ইয়াকুব মেমনের কবরের সৌন্দর্যায়নের পরেও কীভাবে চুপ করে থাকল উদ্ধব সরকার।” তিনি সাজানো কবরের ছবি টুইট করেন। সঙ্গে লেখেন, “এটাই কি মুম্বইয়ের প্রতি ভালোবাসা, এটাই কি তাদের দেশপ্রেম? শরদ পাওয়ার এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গে উদ্ধব ঠাকরের মুম্বাইয়ের জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।”
याकूब मेमन
कबर befor and after ,
Its because of Udhav‘s blessings ? Or his mumbai love ? pic.twitter.com/JLV36Ng7TP
— Ram Kadam (@ramkadam) September 7, 2022
[আরও পড়ুন: মোদির পরে এবার অমিত শাহর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বিজয়নের! কেরলে জন্ম নিচ্ছে নয়া সমীকরণ?]
১৯৯৩ সালের ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণের অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত ছিল ইয়াকুব মেমন। ওই ঘটনায় ২৫৭ জন নিহত হয়েছিলেন এবং ৭২৩ জন আহত হয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট মেমনকে সন্ত্রাসী হামলার “মাস্টারমাইন্ড” হিসাবে উল্লেখ করে ২০১৩ সালের মার্চ মাসে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ২০১৫ সালের ৩০ জুলাই নাগপুর জেলে ফাঁসি দেওয়া হয় তাঁকে।
Source: Sangbad Pratidin