সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) স্বপ্নের প্রকল্প মেড ইন ইন্ডিয়ার ফলে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে ভারত। মার্কিন সংস্থা ব্লুমবার্গের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রশস্ত্র পুরনো হয়ে গেলেও বিদেশ থেকে তা আমদানি করতে পারবে না ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। তার ফলে দুর্বল হয়ে পড়বে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিরক্ষা বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মাত্র চার বছরের মধ্যেই ভারতের হেলিকপ্টারের সংখ্যা বেশ কমে যাবে। কারণ পুরনো হেলিকপ্টারগুলি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে গেলেও নতুন আমদানি করা যাবে না। ২০৩০ সালের মধ্যে একই হাল হবে ভারতীয় যুদ্ধবিমানেরও। সাম্প্রতিক কালে পাকিস্তান এবং চিনের সঙ্গে সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে তোলা দরকার। কিন্তু মোদির নীতি অনুসারে চলতে গিয়ে তা একেবারেই সম্ভবপর হচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: রেলের জমি লিজের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩৫ বছর করায় সায় মন্ত্রিসভার, হবে বিপুল কর্মসংস্থান]
আরও জানা গিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতীয় বায়ুসেনার ফাইটার স্কোয়াড্রনের সংখ্যা তিরিশেরও নীচে নেমে যাবে। চিন এবং পাকিস্তানের মোকাবিলা করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় ভারতীয় বায়ুসেনার ফাইটার জেটগুলি। কিন্তু আগামী আট বছরে প্রায় ছ’টি ফাইটার স্কোয়াড্রন বাতিল করে দিতে বাধ্য হবে বায়ুসেনা।
২০১৪ সালেই মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্প (Make in India) ঘোষণা করে মোদি জানিয়েছিলেন, এবার সমস্ত জিনিসই ভারতের মাটিতে তৈরি করা হবে। বিদেশের প্রতি নির্ভরতা কমাতে এবং দেশের মানুষের জন্য বেশি কর্মসংস্থানের জন্যই এই প্রকল্প তৈরি হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি পণ্য উৎপাদন করতে ৩০-৬০ শতাংশ দেশীয় জিনিস ব্যবহার করতে হবে। সেই কারণেই দরকার পড়লেও বিদেশ থেকে যুদ্ধাস্ত্র আমদানি করা যাবে না। এই সমস্যা কীভাবে কাটিয়ে উঠবে ভারতের প্রতিরক্ষা বিভাগ, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরে অবশ্য কেন্দ্রের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
[আরও পড়ুন:মোদির পরে এবার অমিত শাহর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বিজয়নের! কেরলে জন্ম নিচ্ছে নয়া সমীকরণ?]
Source: Sangbad Pratidin