স্টাফ রিপোর্টার: বাগুইআটির দুই স্কুল পড়ুয়ার খুনের (Baguiati Twin Murder) ঘটনায় সরগরম গোটা রাজ্য। উত্তেজনার পারদ নামেনি ঘটনা প্রকাশ্যে আসার ২৪ ঘণ্টা পরেও। একদিকে ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসী তো অন্যদিকে শোকে মুহ্যমান দুই পড়ুয়ার পরিবার। এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত। এর মাঝেও সাড়ম্বরে জন্মদিন পালন করলেন স্থানীয় কাউন্সিলর। সেই ছবি সামনে আসতেই তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে।
নিহত দুই কিশোরের মধ্যে অভিষেক নস্করের বাড়ি বিধাননগরের আট নম্বর ওয়ার্ডে। বাগুইআটির অর্জুনপুরের শিবতলা এলাকায়। এই শোকের আবহেও সেই ওয়ার্ডেরই কাউন্সিলর সুপর্ণা ঘোষ পালকে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেল নিজের জন্মদিন পালনে। কর্মী-সমর্থকদের ভিড়ে রীতিমতো কেক কেটে জন্মদিন পালন করলেন তিনি। বুধবার স্থানীয় কাউন্সিলরের সাড়ম্বরে জন্মদিন পালনের সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক ও নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। ক্ষুব্ধ স্থানীয়রাও। তাঁদের বক্তব্য, এলাকায় এরকম একটা মর্মান্তিক ঘটনার রেশ চলাকালীন কাউন্সিলর কী করে নিজের জন্মদিন পালন করেন?
[আরও পড়ুন: রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘুরে বেড়াচ্ছে, অথচ পুলিশের কাছে খবর নেই! প্রশাসনিক বৈঠকে ধমক মুখ্যমন্ত্রীর]
প্রসঙ্গত, ৭ সেপ্টেম্বর, বুধবারই জন্মদিন ছিল নিহত কিশোর অভিষেক তথা বাবা-মা বন্ধুবান্ধবদের প্রিন্সের। ১৫ পেরিয়ে ১৬-য় পা দেওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু সেই জন্মদিনেই পুড়ে ছাই হল তার দেহ। শোকে পাথর বাবা হরি নস্কর বলছেন, “অভাবের সংসার তাই প্রতিবছর সাড়ম্বরে ছেলের জন্মদিন পালন করতে পারি না। পায়েস করি খাওয়ায় ওর মা। এবার ভেবেছিলাম, ছেলে ফিরে এলে ওর বন্ধুদের ডেকে মাঠে মাংস-ভাত খাওয়াব। দিনভর হুল্লোড় করবে।” সেই সাধ অপূর্ণই রয়ে গেল তাঁর। ১৫ দিন অপেক্ষার পর বাড়ি ফিরল ছেলের নিথর দেহ।
একইদিনে কাউন্সিলের বেনারসি পরে, কেক কেটে জন্মদিন পালনের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই চড়ে ক্ষোভের মাত্রা। এবিষয়ে আট নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুপর্ণাদেবীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন তুলেই বলেন, “নো কমেন্ট।” তারপর কোনও প্রশ্ন না শুনেই কেটে দেন ফোন।
[আরও পড়ুন: ‘বিচারাধীন বিষয়ে বলব না’, সিবিআই জেরা-বাড়িতে তল্লাশির পরেও মুখে হাসি মলয়ের]
Source: Sangbad Pratidin