সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রক্তের গতি বাড়িয়ে দেওয়া ম্যাচে আফগানিস্তানকে শেষ ওভারে হারাল পাকিস্তান। বলা ভাল, শেষ ওভারে ১৯ বছরের নাসিম শাহের পরপর দুই ছক্কায় পাকিস্তান এক হ্যাঁচকা টানে ম্যাচ নিয়ে এল নিজেদের ক্যাম্পে। তার ফলে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেলেন রশিদ খানরা। এই ম্যাচের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে ছিল রোহিত শর্মার ভারতও। আফগানিস্তান জিতলে টুর্নামেন্টে টিকে থাকত টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু শেষ ওভারে নাসিম শাহ পাকিস্তানকে জিতিয়ে দেওয়ায় রশিদ খানদের সঙ্গে ছিটকে গেল ভারতও। ফাইনাল হবে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মধ্যে।
এদিন টস জিতে আফগানিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠায় পাকিস্তান। আফগানিস্তানের ইনিংসে বড় রান কেউ পাননি। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে তারা। পাকিস্তানের হ্যারিস রাউফ নেন ২টি উইকেট। আফগান ব্যাটারদের মধ্যে ইব্রাহিম জারদান সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন। হাজরাতুল্লা জাজাই (২১) ও গুরবাজ (১৭) ওপেনিং জুটিতে ৩৬ রান করেন। ৪৩ রানে দ্বিতীয় উইকেটটি যায় আফগানিস্তানের। জারদান একদিক ধরে রাখলেও বাকিরা কিন্তু সেভাবে রান করতে না পারায় আফগানিস্তান ২০ ওভারে করে ৬ উইকেটে ১২৯ রান।
[আরও পড়ুন: কুয়ালালামপুরের বিরুদ্ধে হার, এএফসি কাপেও স্বপ্নভঙ্গ মোহনবাগানের]
আইসিসি-র ক্রমতালিকায় অধিনায়ক বাবার আজমকে সরিয়ে এক নম্বর স্থান দখল করেন মহম্মদ রিজওয়ান। আফগানদের রান তাড়া করতে নেমে পাক অধিনায়ক খাতা না খুলেই ফিরে যান। তিন নম্বরে নামা ফকর জামান রান আউট হন ব্যক্তিগত ৫ রানে। অন্যান্য দিনের মতো রিজওয়ানও জ্বলে উঠতে পারেননি। রশিদ খানের বলে ২০ রানে এলবিডব্লিউ হন পাকিস্তানের উইকেট কিপার। শাদাব খানের ব্যাটিংয়ের হাত ভাল। বড় শট খেলতে পারেন তিনি। পাকিস্তান যখন উইকেট হারিয়ে চাপে, তখন বড় শট খেললেন শাদাব। অন্যদিকে ইফতিকার আহমেদ (৩০) মারতে গিয়ে ধরা পড়েন জারদানের হাতে। শাদাব খান (৩৬) মারতে গিয়ে রশিদ খানের বলে ডাগ আউটে ফেরেন। ফারুকির স্লোয়ারে ঠকে যান ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের সেরা হওয়া মহম্মদ নওয়াজ (৪)। খুশদিল শাহও শিকার ফারুকির। ১০৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। হ্যারিস রাউফকে ফেরান ফরিদ। সেই ফরিদের বলেই আউট হন আসিফ আলি (১৬)। নাসিম শাহ শেষ ওভারে দুটো ছক্কা মেরে জিতিয়ে দেন পাকিস্তানকে।
[আরও পড়ুন: বাবরকে সরিয়ে আইসিসি ব়্যাঙ্কিংয়ে সেরা ব্যাটার রিজওয়ান, প্রথম দশে ভারতের কেবল সূর্য]
Source: Sangbad Pratidin