বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: “আমি আমার দলের নেতাদের বলব, বিজেপির (BJP) যাঁরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী, তাঁদের বাড়িতে চা-বিস্কুট খেতে যান। জিজ্ঞাসা করুন, আপনি কী পাননি যে ওদের হয়ে দাঁড়াচ্ছেন?” বুধবার বিকালে নদিয়ার (Nadia) দত্তপুলিয়া হাইস্কুল মাঠের জনসভায় একথা বলেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
এদিন বৃষ্টির পর কর্দমাক্ত মাঠে দাঁড়িয়ে কুণাল ঘোষের বক্তব্য শোনেন মানুষ। কুণাল বলেন, “আমরা যাব মানুষের কাছে। বিজেপি ডিস্টার্ব করবে।” বলেন, “আমরা মানুষের কাছে যাব কাজ নিয়ে। মানুষের ভোটে পঞ্চায়েতে তৃণমূল জিতবে।” এরপরই কুণাল বলেন, “বিজেপির যাঁরা প্রার্থী হবেন, তাঁদের বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসা করুন, আপনি কী পাননি? ওরা টাকা দেবে বলে বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন ?” রাজ্য সরকারের কাজ নিয়েই মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাবে তৃণমূল, বুধবার বলেন আত্মবিশ্বাসী কুণাল।
[আরও পড়ুন: ‘সাজা না দিলে আমজনতা বিশ্বাস করবে কীভাবে?’, সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে ফের প্রশ্ন দিলীপের]
সিবিআই-ইডির সাম্প্রতিক তৎপরতা নিয়ে কুণালের বক্তব্য, যত বেশি সিবিআই-ইডি তৎপর হবে, তত বোঝা যাবে বিজেপি রাজনৈতিকভাবে পারছে না। তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে যত সিবিআই, ইডি পাঠাবে, তত বুঝতে হবে, ভয় পাচ্ছে বিজেপি। বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়া হবে না বলেও জানা কুণাল।
মঙ্গলবার এই মাঠেই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সভা করেছিলেন। সেই সভাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিশাল জনসভা করে কার্যত পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বাজিয়ে গেলেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “বিজেপি যত বেড়েছে, ততটাই সিপিএম কমেছে।” কংগ্রেস-সিপিএম বিজেপিকে গোপনে মদত দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন। কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করেন তৃণমূল নেতা। বলেন, “পঞ্চায়েতে প্রতি বুথে ৫১ শতাংশ করে ভোট পেতে হবে আমাদের।”
[আরও পড়ুন: ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের কোভিড গ্রাফ, সংক্রমণ বৃদ্ধিতে পুজোর আগে বাড়ছে উদ্বেগ]
এদিন ফের শুভেন্দু অধিকারীকে বেইমান, ঘুষখোর বলে তোপ দাগেন কুণাল। দুর্নীতি প্রসঙ্গ বলেন, “৯৯.৫ শতাংশ ভাল কাজ করেছেন। পয়েন্ট পাঁচ শতাংশ ভুল করেছে। নেত্রী বলেছেন, ভুল শুধরে নিতে হবে। এক দু’জনের জন্য গোটা দল দায়ী হতে পারে না।” আরও জানান, এফআইআরে নাম রয়েছে শুভেন্দুর, অথচ তাঁকে ধরা হচ্ছে না। বলেন, “কয়লা পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রের আত্মীয়ের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের অডিও ক্লিপিংস রয়েছে। কোর্টে অডিও ক্লিপিং তুলে দেব আমরা।” মনে করিয়ে দেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী রাজনীতি করছেন। নতুন মুখ হিসেবেই ডায়মন্ডহারবার থেকে তিনি জিতেন।” এদিনের সভায় তৃণমূলের নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবাশীষ গঙ্গোপাধ্যায়, প্রাক্তন সভাপতি রত্না ঘোষ কর, জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু-সহ জেলার অনেকেই হাজির ছিলেন।
Source: Sangbad Pratidin