সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রবল বন্যায় বিধ্বস্ত পাকিস্তান (Pakistan)। দেশজুড়ে এই বিপর্যয়ের ধাক্কায় খাদ্য ভাণ্ডার কার্যত নিঃশেষ। হাহাকার দেশজুড়ে। আর এই পরিস্থিতিতে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে মহেঞ্জোদারোর (Mohenjo-daro) ধ্বংসস্তূপ চিরকালের জন্য কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার।
পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে অবস্থিত মহেঞ্জোদারোর ধ্বংসাবশেষ। সিন্ধ নদের তীরে অবস্থিত সাড়ে ৪ হাজার বছর আগের প্রাচীন সভ্যতার এই নিদর্শন ইউনেস্কোর ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে’র অন্তর্গত। গোটা বিশ্বের কাছে যা এক বিস্ময়ের খনি। সেই ধ্বংসস্তূপই এবার ধ্বংস হয়ে যেতে বসেছে প্রবল বন্যায়।
[আরও পড়ুন: ইন্ডিয়া গেটে বসে গেল নেতাজির গ্রানাইট মূর্তি, বৃহস্পতিবার উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী]
সরাসরি বন্যার ধাক্কা কিন্তু পড়েনি সিন্ধ নদের তীরের ওই অঞ্চলে। কিন্তু লাগাতার বৃষ্টিতে প্রভূত ক্ষতি ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। প্রায় ৫ হাজার বছর আগের বহু দেওয়াল ভেঙে পড়েছে বৃষ্টির প্রকোপে। ওই অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক এহসান আব্বাসি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই প্রত্নতাত্ত্বিকরা ওই ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের সারাইয়ের কাজ শুরু করেছেন। তবে ওই ধ্বংসাবশেষের বিরাট ক্ষতি হলেও সেখানে অবস্থিত বুদ্ধ স্তূপটি একেবারে অবিকৃত অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বুধবার পাকিস্তানে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি জানিয়েছেন, যা পরিস্থিতি তাতে পাকিস্তানের একটা বড় অংশকে সমুদ্রের মতো মনে হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ঋণের বোঝায় ডুবে নেই মোটেই, বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা ওড়াল আদানি গোষ্ঠী]
বস্তুত প্রবল বন্যার ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তানের খাদ্য ভাণ্ডার। সেই কারণেই ভারত থেকে সবজি এবং অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য আমদানি করার কথা ভাবতে হচ্ছে পাকিস্তানকে, এমনটাই জানিয়েছিলেন সেদেশের অর্থমন্ত্রী মিফতা ইসমাইল। ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তানের (Pakistan) পাশে দাঁড়িয়ে সমবেদনা জানিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু তবুও শাহবাজ শরিফ জানিয়ে দিয়েছেন, ভারতের ত্রাণ নিতে প্রস্তুত নন তাঁরা। শরিফের এই মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি ভারতের তরফ থেকে।
Source: Sangbad Pratidin