নন্দন দত্ত, সিউড়ি: অবৈধভাবে কয়লার পাচার রুখতে তৎপর বীরভূম জেলা পুলিশ। লাগাতার চালানো হচ্ছে তল্লাশি অভিযান। এতেই মিলল সাফল্য। মঙ্গলবার রাতে ৫০ মেট্রিক টন অবৈধভাবে মজুত করা কয়লা বাজেয়াপ্ত (Coal Siezed) করল বীরভূমের (Birbhum) দুবরাজপুর থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, অবৈধ ওই কয়লা মজুতের বিষয়ে আগে থেকেই খবর ছিল পুলিশের কাছে। গোপন সূত্র মারফত খবরটি পেয়েই সাদ্দাম খান নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে হানা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার রাতে বিশাল পুলিশবাহিনী সাদ্দামের বাড়িতে হাজির হয়। পুলিশ গ্রামে ঢুকেছে। এই খবর পেয়েই চম্পট দিয়েছিল সাদ্দাম। তার বাড়ি থেকে ৫০ মেট্রিক টন অবৈধ কয়লা বাজেয়াপ্ত দুবরাজপুর থানার পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বাবার স্বপ্ন ছিল বিখ্যাত হোক ছেলে, আস্ত হেলিকপ্টার বানিয়ে তাক লাগালেন ফাইভ পাশ যুবকের]
অভিযোগ, অবৈধভাবে মজুত করে কয়লা পাচারের ব্যবসা করত সাদ্দাম। বেশ কিছুদিন ধরেই এই কাজ করে চলেছিল সে। কিন্তু সাদ্দামের এই কীর্তি খবর পুলিশের কানে পৌঁছেই যায়। খবর পেয়েই তৎপর হয়ে যায় পুলিশ। ৫০ মেট্রিক টন অবৈধ কয়লা বাজেয়াপ্ত। আপাতত পলাতক সাদ্দামের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তার পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশীদেরও প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, অবৈধভাবে কয়লা পাচার নিয়ে তৎপর রাজ্যের সিআইডিও (CID)। ইতিমধ্যেই, আবদুল বারিক বিশ্বাস-সহ ভিন রাজ্যের এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ধৃতদের জেরায় পাওয়া তথ্য এবং পারিপার্শ্বিক প্রমাণের উপর ভিত্তি করে রাজ্য পুলিশের কর্মী এবং আধিকারিকদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা চায় তদন্তকারীরা। পাচার কাণ্ডে রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকদের ভূমিকা কী ছিল, তাদের কাছে এ সংক্রান্ত কোনও তথ্য ছিল কি না তা খতিয়ে দেখতে চায় তদন্তকারী। পাশাপাশি পুলিশও কয়লা পাচার মামলায় তৎপর হয়েছে।
[আরও পড়ুন: Moloy Ghatak: কয়লাপাচার কাণ্ডে মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে CBI হানা, চলছে তল্লাশি ]
Source: Sangbad Pratidin