সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরানে (Iran) দুই মহিলাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো হল। স্থানীয় প্রশাসনের বক্তব্য, নারী পাচারের অভিযোগে দুই মহিলাকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি শুনিয়েছে উত্তর-পশ্চিম তেহরানের একটি আদলত। এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) নিন্দায় সরব হয়েছে ইরানের নেটিজেনরা। একটি সূত্র জানা গিয়েছে, আদৌ মানবপাচার নয়, সমকামিতার কারণেই মৃত্যদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। তাঁরা সমকামী অধিকার কর্মী বলেও জানা গিয়েছে।
ইরান সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই অভিযুক্তের নাম জারা সাদিঘি ও এলহাম চোবদার। চরম সাজা ঘোষণার সময় অভিযুক্তদের দ্বারা ঘটিত দোষকে বলা হয় ‘কোরাপশন অন আর্থ’ (Corruption on Earth) বা ‘দুনিয়ায় দুর্নীতি’। ইরান সরকারের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রের’ ক্ষেত্রে এই শব্দজোট ব্যবহার করে থাকে সে দেশের আদালত। এক্ষেত্রে বলা হয়, দোষীরা অল্প বয়সি মেয়েদের বিপথ চালিত করছিল।
[আরও পড়ুন: করোনা বড় বালাই, ভূমিকম্পে বাড়ি কাঁপলেও বেরনো নিষেধ! প্রশ্নের মুখে চিনের কোভিড বিধি]
যদিও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জানিয়েছে, দুই অভিযুক্ত আসলে সমকামী। তাঁরা সমকামীদের অধিকার নিয়ে কাজ করতেন। যদিও সরকারি তরফে জানানো হয়েছে, দুই অভিযুক্ত অল্প বয়সি মেয়েদের বিদেশে চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁদের পাচার করে দিত। এই দোষেই উত্তর-পশ্চিম তেহরানের একটি আদলত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়। তবে এই সাজার বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারবেন অভিযুক্তরা।
একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আগেই জারা সাদিঘিকে এক মাস ধরে জেলবন্দি রাখা নিয়ে আওয়াজ তুলেছিল। তারা জানিয়েছিল, জারাকে আটকে রাখার কারণ তাঁর ব্যতিক্রমী লিঙ্গ পরিচয়। এছাড়াও সমকামীদের সমর্থনে জারার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: কানাডায় ছুরিতে ১০ জনকে হত্যাকারীর দেহ উদ্ধার, অপর আততায়ী এখনও অধরা, বাড়ছে আতঙ্ক]
উল্লেখ্য, ইরানে সমকামিতা নিষিদ্ধ। সমকামী, উভকামী এবং ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য এই বিশ্বে স্থান নেই বলেই মনে করে ইরানের সমাজ। সেখানে ভীষণ ভাবে নির্যাতিত হন এই গোত্রের মানুষরা। সমকামীদের জন্য ইরান এতটাই ভয়ংকর জায়গা যে তাঁরা প্রায়শই নিজের দেশ ছেড়ে বিদেশে গিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।
Source: Sangbad Pratidin