রাহুল রায়: চাকরির নামে ১০ লক্ষ টাকা নেওয়ার পাশাপাশি লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ। এবার কাঠগড়ায় মঙ্গলকোটের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। নিগৃহীতার দাবি, একাধিকবার পুলিশে জানিয়েও বিশেষ লাভ হয়নি। এবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ ওই মহিলা চাকরি প্রার্থী। রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পদক্ষেপের আরজি জানিয়েছেন তিনি।
পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের (Mongalkote) তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি দেবাশিস পাল। মামলাকারীর দাবি, ২০২১ সালের ৩১ মার্চ রাজ্য সরকারের গ্রুপ সি বা ডি-তে চাকরির নাম করে ১০ লক্ষ টাকা নেন দেবাশিস। কথা ছিল, ২ মাসেই মিলবে চাকরি। কিন্তু প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। ২ মাস কেন, ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও চাকরি পাননি ওই মহিলা। স্বাভাবিকভাবেই দেবাশিসবাবুর কাছে বারবার চাকরির জন্য দরবার করেন তরুণী। অভিযোগ, এরপরই মহিলাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন ওই তৃণমূল নেতা (TMC)। ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে লাগাতার সহবাস করেন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে। যার জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন মামলাকারী তরুণী।
[আরও পড়ুন: ঘরের ছেলে জঙ্গি সংগঠনে যুক্ত, মানতেই পারছে না সাদ্দাম-সামিরের পরিবার]
অভিযোগ, চলতি বছরের মার্চ মাসে তরুণীকে বাড়ি থেকে ডেকে কিছুটা দূরে নিয়ে যায় দেবাশিস পাল। সেখানে ওই চাকরি প্রার্থীর পেটে লাথি মারা হয়। যার জেরে গর্ভস্থ শিশুটির মৃত্যু হয়। চলতি বছরের জুলাই মাসে আউশগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু সেই মামলা মঙ্গলকোট থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন ওই মামলাকারী। অবিলম্বে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিল বহুদিন ধরেই। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারির পর যেন একে একে বাড়ছে আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে চাকরির অভিযোগ। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন এই মঙ্গলকোটের ঘটনা।
[আরও পড়ুন: ঘরের ছেলে জঙ্গি সংগঠনে যুক্ত, মানতেই পারছে না সাদ্দাম-সামিরের পরিবার]
Source: Sangbad Pratidin