রাহুল রায়: ভুল করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। অথচ গত ৫ বছর যাবৎ সেই ভুলের খেসারত দিচ্ছেন ২৩ জন চাকরিপ্রার্থী। এবার সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে পর্ষদকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ২৩ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে আগামী ২৩ দিনের মধ্যে। শূন্যপদ না থাকলে তা তৈরি করে চাকরি দিতে হবে। চাকরিপ্রার্থীরা চাকরি পেলেন কি না, তা আগামী শুনানিতে আদালতকে জানাতে হবে।
২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেটের (Primary TET) পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল। সেবছরই পরীক্ষা দিয়েছিলেন এই ২৪ জন পরীক্ষার্থী। কিন্তু ২০১৬ সালে ফল প্রকাশ হলে দেখা যায় তাঁরা টেট পাশ করেননি। স্বাভাবিকভাবেই সেই সময় চাকরি পাননি তাঁরা। ওই পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, পর্ষদের প্রশ্নে ভুল ছিল। ওই ছ’ নম্বরের জন্য চাকরি পাননি তাঁরা।
[আরও পড়ুন: ঋষির স্বপ্ন অধরাই, ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস]
এর মধ্যে অন্য একটি মামলায় দেখা যায়, ভুল প্রশ্ন থাকায় চাকরিপ্রার্থীদের নম্বর বাড়াতে রাজি হয় পর্ষদ। তারপরই কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন এই ২৩ টেট পরীক্ষার্থী। এরপর ওই নম্বর দেওয়া যায় কিনা তা পর্ষদকে বিচার করতে বলে হাই কোর্ট। নিজেদের ভুল স্বীকার করে নম্বর বাড়িয়ে দেয় পর্ষদ। ফলে টেটে পাশ করে যান ওই ২৩ জন। এরপরই বিপত্তি। মামলাকারীদের অভিযোগ, তাঁরা নম্বর পাবে কিনা তা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ২০২০ সালে নতুন নিয়োগ করে পর্ষদ। এমনকী, প্রশিক্ষণহীনরাও চাকরি করছেন। এদিকে আদালতে পর্ষদ জানিয়েছে, আপাতত কোনও শূন্যপদ নেই।
এই যুক্তির পালটা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “বোর্ডের ভুলে পাঁচ বছর চাকরি পাননি ওঁরা। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।” একইসঙ্গে তিনি জানান, এই ধরনের যত মামলা আসবে তিনি সেগুলি বিবেচনা করবেন।
[আরও পড়ুন: পুজোর কেনাকাটার ভিড় সামলাতে অতিরিক্ত বাস, শনি ও রবিবার চলবে শহরের ৯ রুটে]
Source: Sangbad Pratidin