কল্যাণ চন্দ্র ও শাহজাদ হোসেন: এবার গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling) সিআইডির জালে এনামুল হক ঘনিষ্ঠ পাচারকারী। বহরমপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গরুপাচারের তদন্তে নেমে এটাই সিআইডির প্রথম গ্রেপ্তারি। এনামুল হক ঘনিষ্ঠ ওই ব্যক্তিকে আজ অর্থাৎ রবিবার জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে তোলা হচ্ছে। সিআইডি (CID) সূত্রে খবর, এনামুলের অনুপস্থিতিতে গরুপাচারের দায়িত্ব ছিল ধৃতের উপর।
ধৃত জেনারুল শেখের বাড়ি জঙ্গিপুরের জালিবাগান এলাকায়। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, জেনারুল গরু পাচারের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তার কাছে গরু পাচারের বিভিন্ন প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি। সূত্রের খবর, জেনারুল শেখ খোয়ার চালাতেন। সেই খোয়ারে গরু রাখতেন জেনারুল। সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিএসফ যে গরুগুলোকে আটক করত সেই গরু নিজের খোয়ারে রাখত জেনারুল।
[আরও পড়ুন: ‘TET নেবেন না, আত্মহত্যা করব’, নিয়োগ তৎপরতা শুরু হতেই পর্ষদ সভাপতিকে হুমকি উত্তীর্ণদের]
ওই খোয়ারে অনেক গরুর মৃত্যু হয়েছে, সেগুলি নদীতে ফেলেও দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশে বহু গরু পাচার হয়েছে বলতে জানতে পেরেছে সিআইডি। কীভাবে সেই গরু পাচার হত, বিএসএফের সঙ্গে যোগসূত্র ছিল কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে সিআইডি। রবিবার জঙ্গিপুর মহকুমা আদলতে তুলে জেনারুলকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় সিআইডি বলে জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই যখন একদিকে জানার চেষ্টা করছে বীরভূম থেকে মুর্শিদাবাদ হয়ে কীভাবে বাংলাদেশে গরু পাচার হত ঠিক তখন গরু পাচার মামলার কয়েকটি বিষয় নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে রাজ্যের সিআইডি। সেই তদন্তের সূত্রে ইতিমধ্যে রঘুনাথগঞ্জ এবং সুতির বেশ কয়েকটি এলাকাতে ঘুরে গিয়েছে সিআইডির দল। সূএের খবর, সিআইডি আধিকারিকরা সুতি এবং রঘুনাথগঞ্জের কয়েকটি গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্যদের সঙ্গে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেছেন। তাঁদের উত্তরের সন্তুষ্ট না হওয়াতে ফের মালদহে সিআইডির দপ্তরে ডেকে একদফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমাতে গরুর খোঁয়াড়গুলোতে কত গরু এনে রাখা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘TET নেবেন না, আত্মহত্যা করব’, নিয়োগ তৎপরতা শুরু হতেই পর্ষদ সভাপতিকে হুমকি উত্তীর্ণদের]
তদন্তের স্বার্থে বৃহস্পতিবার মালদহের সিআইডি দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল রঘুনাথগঞ্জ দুই নম্বর ব্লকের বড়শিমুল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বেলিয়ারা বিবির স্বামী সাহাবুল শেখকে। তিনি জানান, “২০১৮ সালে আমরা যখন পঞ্চায়েত দখল করি সেই সময়ে এই পঞ্চায়েতের খোঁয়াড়ে কোনও গরু ছিল না। ২০১৯-২০ সালে টেন্ডার হওয়ার পর সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে জেনারুল শেখ নামে এক ব্যক্তি খোঁয়াড় চালানোর দায়িত্ব পান। পঞ্চায়েতের অর্থ কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হওয়ার পর টেন্ডার করার পর জেনারুলকে খোঁয়াড় চালাতে দেওয়া হয়েছিল। এতে কোথাও কোনও বেনিয়ম হয়নি।” এরপর থেকেই জেনারুলর খোঁজ শুরু করেছিল সিআইডি।
Source: Sangbad Pratidin