নয়াদিল্লি: সাত বছরের এক নাবালিকার সঙ্গে অস্বাভাবিক যৌন নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তকে জামিন দিল বম্বে হাই কোর্ট (Bombay High Court)। সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হল, নিগৃহীতার পরিবারের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করার চেষ্টা না করার জন্য। তবে জামিন মঞ্জুর করার কারণ হিসাবে যে যুক্তি দেখানো হল, বিতর্ক দানা বেঁধেছে। আদালতের বক্তব্য, নাবালিকার পায়ুদ্বারে তরল ঢেলে দিয়েছেন অভিযুক্ত যা সরাসরি যৌন সম্পর্ক স্থাপন নয়। এই কারণেই জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে অভিযুক্তের।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বছর সাতেকের এক বালিকাকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে এক বছর পঞ্চাশের ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মহিলাদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর আচরণ, অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক স্থাপন-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়। পাশাপাশি শিশুনির্যাতনের অভিযোগে পকসো আইন অনুযায়ীও অভিযোগ দায়ের হয়।
[আরও পড়ুন: বেকারত্বের জালে দেশ, সতর্ক না হলে আরও খারাপ হবে পরিস্থিতি! আশঙ্কা অর্থনীতিবিদের]
বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি ভারতী এইচ ডাঙ্গরে এই মামলার শুনানিতে জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নিগৃহিতার পায়ুদ্বারে লাল তরল ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে যা সরাসরি যৌন নির্যাতনের মধ্যে পড়ে না। বিচারপতি ডাঙ্গরে বলেন, ‘ভারতীয় আইনের ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক হিসাবে কোনও অপরাধ বিবেচ্য হতে হলে তাতে শরীরে যৌনাঙ্গের প্রবেশ থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে যা হয়নি।” আর কোর্টের এই সিদ্ধান্ত ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকাকে যৌন হেনস্তা করারও অভিযোগ আনা হয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। সেই অপরাধে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল হতে পারে। কিন্তু সেই সাজাও মকুব করে দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। যুক্তি হিসাবে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই তিন বছরের বেশি সময় জেলে কাটিয়েছে অভিযুক্ত। সেই কারণেই তার সাজা কমিয়ে দিল আদালত। কোর্টের এই রায় ঘিরে নানা মহলে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ২০২৯-এর মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে ভারত, দাবি SBI রিপোর্টে]
Source: Sangbad Pratidin