নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বিরোধী জোটের সলতে পাকাতে আগামী সপ্তাহেই দিল্লি সফরে আসার সম্ভাবনা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের। বিজেপির সঙ্গ ছাড়ার পরে এটাই হতে চলেছে তাঁর প্রথম দিল্লি সফর।
তাঁর সফরের সময় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) থেকে শুরু করে বিহারের জোটসঙ্গী বামেদের প্রথম সারির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক তো তিনি করবেনই, সঙ্গে বিরোধী দলের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন বলেই শোনা গিয়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নীতীশ যে নিজেকে বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন, সে কথা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। ইতিমধ্যেই পাটনাতে জেডিইউ-র (JDU) দপ্তরের সামনে একাধিক পোস্টার লাগানো হয়েছে যাতে নীতীশকে দেশের নেতা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
সম্প্রতি তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও নীতীশের (Nitish Kumar) সঙ্গে বিহারে বৈঠক করার পর থেকেই আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি (BJP) তথা এনডিএর বিরুদ্ধে বিরোধী জোটের নেতা হিসেবে নীতীশ নিজেকে তুলে ধরতে চাইছেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছিল। দলীয় দপ্তরের বাইরে পোস্টার থেকে শুরু করে দিল্লি সফর, সেদিকেই ইঙ্গিত করছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: শিক্ষারত্ন সম্মান এবার রাজ্যের ৬১ শিক্ষককে, ১১৪১ জন কৃতী ছাত্র-ছাত্রীকেও সংবর্ধনা]
নীতীশের দিল্লি সফরকে অবশ্য একেবারেই পাত্তা দিতে রাজি নয় বিজেপি শিবির। নীতীশ যাই করুন না কেন, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ভাল ফল করবে বলেই দাবি করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-মিডিয়া প্রধান তথা বিহার বিধান পরিষদের সদস্য সঞ্জয় ময়ূখ। তিনি বলেছেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিহারে গতবারের চেয়ে আরও ফল করবে। বিহারের মানুষ লোকসভা নির্বাচনে নীতীশ নয়, মোদিজিকেই প্রাধান্য দেবে আমরা নিশ্চিত।
একদিকে নীতিশ যেভাবে লোকসভায় সলতে পাকানো শুরু করতে চলেছেন অন্যদিকে বিজেপিও তেমনি বিহারে ঘর গোছানোর কাজ এখন থেকেই শুরু করে দিতে চাইছে। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই দু-দিনের বিহার সফরে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানকার সীমাঞ্চলের পূর্ণিয়া, কিষাণগঞ্জ সফর করবেন তিনি। দলীয় বৈঠকের পাশাপাশি জনসভাও করবেন পূর্ণিয়াতে। জানা গিয়েছে, সীমাঞ্চলের জেলাগুলিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা বেশি। অভিযোগ, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের কারণেই তা হয়েছে। সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই বিজেপি সীমাঞ্চলের জন্য রণকৌশল ঠিক করছে। সেক্ষেত্রে মেরুকরণকে সামনে রেখেই বিজেপি সেখানে নিজেদের ঘাঁটি শক্ত করতে চাইছে। এমন জল্পনাও শোনা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: জেলের খাবারে অরুচি! দেশি মুরগি আর টাটকা পোনা খাওয়ার ‘আবদার’ অনুব্রতর]
Source: Sangbad Pratidin