অর্ণব আইচ: ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার জন্য দোকান থেকে বেরতেই বিপত্তি। পুলিশ সেজে মাছ ব্যবসায়ী ও তাঁর কর্মীর কাছ থেকে ভর সন্ধেবেলা ১০ লক্ষ টাকা লুট! তবে শেষরক্ষা হল না। ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে মুচিপাড়া থানার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত চার ব্যক্তি। শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ। জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজন বিধানসভার কর্মী। উদ্ধার হয়েছে খোয়া যাওয়া ১০ লক্ষ টাকা।
ঘটনার অনেকটাই সিনেমার চিত্রনাট্যের মতো। রাস্তায় পুলিশ পরিচয় দিয়ে টাকা লুট করা হয়। আসিফ মকসুদে নামে ব্যবসায়ীর মাছের পাইকারি ব্যবসা রয়েছে। ‘গামা ফিশারিজ’ ও ‘কিং ফিশ কোম্পানি’ নামে দুই সংস্থা রয়েছে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে। বৃহস্পতিবার সেখান থেকে ফেরার পথে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন নিজের কর্মীকে। মহম্মদ সানাউল্লা নামে ওই কর্মীকে টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার কথা বলেছিলেন আসিফ। সানাউল্লা প্রথম একটি সাদা খামে টাকা নিয়েছিলেন, পরে তা নীল প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখেন। গোটা বিষয়টি নজরে রেখেছিল দুষ্কৃতীরা।
[আরও পড়ুন: TET দুর্নীতি মামলা: তদন্ত করবে সিবিআই-ই, রাজ্যের আবেদন খারিজ করে রায় হাই কোর্টের]
এরপর ১৫৬, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের দোকান থেকে তিনি বেরতেই চার ব্যক্তি পুলিশের ছদ্মবেশে ঘিরে ধরে সানাউল্লাকে। এরপর লাট্টুপাড়া মসজিদের কাছে আসতেই তাঁর থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় ১০ লক্ষ টাকা। গোটা বিষয়টি জানতে পারেন আসিফ। তিনি সঙ্গে সঙ্গে মুচিপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্তে নামে। গ্রেপ্তার করা হয় চারজনকে – সানি হাজরা, সমর দত্ত, টিঙ্কু সাহানি, পাপ্পু খটিক। এদের সকলের বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। এছাড়া বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় সমীর হাজরা নামে আরেকজনকে।
পুলিশ জানতে পেরেছে, টাকা লুটের নেপথ্যে এই পাঁচজনেরই প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে সেই ইঙ্গিত মিলেছে বলে পুলিশের দাবি। ধৃতদের কাছ থেকে ফেরত পাওয়া গিয়েছে ১০ লক্ষ টাকাই। এদিন তাদের আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ভেঙে ফেলা টুইন টাওয়ারের জায়গায় তৈরি হবে রাম ও শিবের মন্দির! তুঙ্গে জল্পনা]
Source: Sangbad Pratidin