অর্ণব আইচ: দক্ষিণ কলকাতার (South Kolkata) হরিদেবপুর এলাকার এক হাসপাতালের বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হয় প্রৌঢ়ার ঝুলন্ত দেহ। গত বেশ কিছুদিন ধরে ক্যানসারের চিকিৎসা চলছিল তাঁর। শুক্রবার সকালের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। প্রৌঢ়ার মৃত্যুর কারণ ঘিরে দানা বেঁদেছে রহস্য।
হরিদেবপুর থানার পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম নীলিমা সাহা। তিনি মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বাসিন্দা। গত ১৭ আগস্ট ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল তাঁকে। গতকাল রাতেও কেমো থেরাপি চলে তাঁর। কিন্তু এদিন সকালেই শৌচালয় থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ক্যানসারের রোগী বাথরুমে গেলে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করতে পারেন না। কেউ বাইরে থেকে ডাকলে জানতে পারেন ভিতরে একজন রয়েছেন। জানা গিয়েছে, এদিন এক মহিলা ওই বাথরুমের দরজায় টোকা মারেন। কিন্তু ভিতর থেকে কোনও সাড়া মেলে না। এরপর দরজা খুলে ঢুকতেই দেখেন সিলিং থেকে ঝুলছে নীলিমা দেবীর দেহ।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ফের জঙ্গিদের নিশানায় পরিযায়ী শ্রমিক, পুলওয়ামায় গুলিবিদ্ধ বাঙালি যুবক]
ঘটনায় ছড়িয়ে পড়ে তীব্র চাঞ্চল্য। হাসপাতালের তরফে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। প্রাথমিক ভাবে এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে বিশেষ আর্থিক সমস্যায় ভুগছিলেন না নীলিমা দেবী। পরিবারের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাঁর বলে খবর। তা সত্ত্বেও কেন আত্মঘাতী হলেন তিনি? পুলিশের অনুমান, ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ায় আর বেশিদিন বাঁচবেন না। হয়তো এই অবসাদেই ভুগছিলেন তিনি। সেখান থেকেই আত্মহননের পথ বেছে নেন।
ইতিমধ্যেই নীলিমা সাহার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাবার্তা বলছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ।
[আরও পড়ুন: হাসপাতালে অসুস্থ ‘পদ্মশ্রী’ প্রাপককে নাচতে বাধ্য করে কাঠগড়ায় ওড়িশার সমাজকর্মী!]
Source: Sangbad Pratidin