সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনা আগ্রাসনের আশঙ্কায় ত্রস্ত তাইওয়ান। যে কোনও মুহূর্তে সাগর পেরিয়ে বাঁধ ভাঙা জলের মতো ধেয়ে আসতে পারে কমিউনিস্ট দেশটির চতুরঙ্গ বাহিনী। এহেন বারুদ ঠাসা পরিস্থিতিতে একটি সন্দেহভাজন ড্রোনকে গুলি করে নামাল তাইওয়ানের সেনাবাহিনী।
তাইওয়ানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার শাইইউ দ্বীপের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করে একটি অসামরিক ড্রোন। উড়ন্ত যানটিতে ক্যামেরা বসানো ছিল। সেটিকে গুলি করে নামানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, “সেনার জিনমেন ডিফেন্স কমান্ড জানিয়েছে, আজ দুপুরে শাইইউ দ্বীপের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করে একটি অসামরিক ড্রোন। সেটিকে গুলি করে নামানো হয়েছে। ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: একাধিক হাসপাতাল ঘুরে মৃত্যু ভারতীয় অন্তঃসত্ত্বার, ইস্তফা পর্তুগালের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর]
বলে রাখা ভাল, মূল চিনা ভূখণ্ডের কাছে অবস্থিত শাইইউ দ্বীপ তাইওয়ানের (Taiwan) নিয়ন্ত্রণাধীন। সেখানে মজবুত ঘাঁটি রয়েছে তাইওয়ানের সেনাবাহিনীর। ফলে কৌশলগত দিক থেকে এর অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্লেষকদের মতে, সাগর পেরিয়ে তাইওয়ানে হামলা চালাতে গেলে লালফৌজের গতিবিধি সম্পর্কে শাইইউ দ্বীপ থেকে আগাম সতর্কতা পেয়ে যাবে তাইপেই। তাই যুদ্ধের পরিস্থিতিতে সবার আগে ওই দ্বীপটি দখল করতে চাইবে চিনা বাহিনী।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, গত জুলাই মাসে মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর থেকেই আগ্রাসী হয়ে উঠেছে চিন। দ্বীপরাষ্ট্রটিকে ঘিরে সামরিক মহড়া চালিয়েছে লালফৌজ। গত আগস্ট মাসে তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণাধীন একাধিক ক্ষুদ্র দ্বীপে হানা দিয়েছে চিনা ড্রোন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, কিনমেন দ্বীপ। এটি তাইওয়ানের অধীন হলেও এর অবস্থান চিনা ভূখণ্ড থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসেই শি জিনপিং সরকার জানিয়ে দেয়, তারা হংকংয়ের মতোই তাইওয়ানেও যে ‘এক দেশ দুই ব্যবস্থা’ বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা তারা ফিরিয়ে নিচ্ছে। ঠিক কী ছিল সেই প্রতিশ্রুতি? ২০০০ সালে যে শ্বেতপত্র চিন (China) প্রকাশ করেছিল, সেখানে জানানো হয়েছিল, যদি কখনও তারা দ্বীপরাষ্ট্রটি দখল করে তাহলে সেখানে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করবে না। সেখানে থাকবে স্বশাসিত সরকার। কিন্তু এবার বেজিং জানিয়ে দিল, এই প্রতিশ্রুতি তারা আর দিচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: ভারত-চিনকে একসঙ্গে মহড়ায় ডাক পুতিনের, আমেরিকাকে পালটা দিতে নয়া উদ্যোগ রাশিয়ার]
Source: Sangbad Pratidin