দিবেন্দ্যু মজুমদার, হুগলি: করোনা মহামারীতে দু’বছর মানুষের কাছে মিষ্টি পৌঁছাতে পারেনি। এ বছর বিগত দুবছরের ফেলে আসা অভিশপ্ত দিনগুলো ভুলে গণেশ পূজোকে উপলক্ষ্য করে মানুষ ফের মেতে উঠেছে উৎসবের আনন্দে। এবার সেই উৎসবে মুম্বইতে শচীন তেন্ডুলকরের (Sachin Tendulkar) বাড়ির গণেশ পুজোয় মহারাষ্ট্রের বিখ্যাত মোদক মিষ্টি গেল হুগলি থেকে। এই মোদক মিষ্টি ছাড়া রিষড়ার ফেলু মোদকের বিখ্যাত বাংলা ঘরানার দরবেশ লাড্ডু, ছাড়াও শচীনের মেয়ের প্রিয় আম সন্দেশ পৌঁছে গেল মুম্বইতে।
কলকাতায় যেরকম দুর্গাপুজো বিখ্যাত সেরকম মহারাষ্ট্রের মুম্বইতে গণেশ পুজো বিখ্যাত। হুগলির রিষড়ার মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী অমিতাভ মোদক জানান, ১০-১২ বছর আগে তিনি গণেশ পূজার সময় মুম্বই, পুণেতে গিয়ে থাকতেন। মহারাষ্ট্রে গণেশ পুজোয় লাড্ডু ছাড়াও ‘মোদক’ মিষ্টির ব্যবহার বহুল প্রচলিত। সেখানে তার যে সমস্ত বন্ধুরা মিষ্টির ব্যবসায়ী ছিলেন তাদের দোকানে গিয়ে দেখতেন তারা কী পদ্ধতিতে এই মোদক মিষ্টি বানাচ্ছেন। তারপর থেকেই মাথায় নতুন ভাবনা চিন্তা ঘুরপাক খেতে থাকে। এ নিয়ে রীতিমতো পড়াশোনা করে কীভাবে সেই মোদক মিষ্টি আরও উন্নত মানের করা যায় তা বাস্তবে প্রয়োগ করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: প্রাণনাশের আশঙ্কা, বারাকপুরের পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা পানিহাটির নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রীর ]
শচীন তেন্ডুলকর কলকাতায় এলেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতেন এবং তাঁর দোকানের মিষ্টি না খেয়ে কোনদিন মুম্বই ফিরে যেতেন না। এবার মহারাষ্ট্রের সেই বিখ্যাত মোদক মিষ্টি সম্পূর্ণ নতুন রূপে প্রকাশ পেয়েছে ফেলু মোদকের এই মোদক মিষ্টির মধ্যে দিয়ে। নারকোল, ছোট এলাচ, জায় ফল, জয়িত্রী, পেস্তা, কাজুবাদাম, ছানা, ক্ষীর দিয়ে তৈরি এই মোদক সম্পূর্ণ নতুনরূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। দেশ-বিদেশের বহু জায়গায় হুগলির এই মিষ্টি বিখ্যাত হলেও বিখ্যাত ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকারের বাড়ি গণেশ পুজোয় তাঁরই হাতে তৈরি মিষ্টি দিয়ে পুজো করা হবে এটা তার কাছে সত্যিই বড় প্রাপ্তি। সোমবারই বোরিয়া মজুমদারের হাত দিয়ে বিমানে করে শচীন তেন্ডুলকারের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে এই মোদক। বাংলার সৃষ্টি এই নতুন মিষ্টি দিয়ে শচীন তেন্ডুলকারের বাড়ির সিদ্ধিদাতা এবার পুজিত হয়েছেন।
View this post on Instagram
A post shared by Sachin Tendulkar (@sachintendulkar)
[আরও পড়ুন: আইন অমান্য ঘিরে বর্ধমানে বাম বিক্ষোভ, পুলিশকে ইট, ভাঙল বিশ্ববাংলা লোগো ]
Source: Sangbad Pratidin